সম্প্রতি গার্ডেনরিচের ঘটনায় অস্বস্তি কলকাতা পুরসভা। বেআইনি নির্মাণ ঠেকানোর জন্য ইতিমধ্যেই প্রযুক্তির উপর জোর দিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ। এবার দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে খালি পড়ে থাকা ‘জুনিয়র আর্কিটেক্ট’ পদে লোক নিয়োগের জন্য পরিকল্পনা শুরু করে কলকাতা পুরসভা। নির্মাণের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের প্রয়োজনিয়তা অনুভব করেই আর্কিটেক্ট পদে লোক নিয়োগের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।সূত্রের খবর, পুরসভায় এক সময় ‘চিফ মিউনিসিপ্যাল আর্কিটেক্ট অ্যান্ড টাউন প্ল্যানার নামক একটি বিভাগ ছিল। সেখানে চিফ আর্কিটেক্ট থেকে শুরু করে একাধিক জুনিয়র আর্কিটেক্ট পদও একসময় ছিল। কলকাতা পুরসভার অন্দরেই অভিযোগ, বিভিন্ন পলিসি তৈরি করে অতীতে সেই পদগুলিকে তুলে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে কলকাতা পুরসভায় জুনিয়র আর্কিটেক্ট পদ রয়েছে মাত্র তিনটি।

কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, বেআইনি নির্মাণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। সম্প্রতি এই লক্ষ্যেই একটি অ্যাপও লঞ্চ করা হয়েছিল, বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে যা ব্যবহার করছিলেন পুরআধিকারিকদের একাংশ।

এবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম চায়ছেন বিল্ডিং বিভাগে সিভিল ইঞ্জিনিয়রের সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতামতের জন্য আর্কিটেক্টদেরও নিয়োগ করা হোক। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, ‘কয়েকটি জায়গায় নির্দিষ্টভাবে আর্কিটেক্টের প্রয়োজন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টির দিকে কেউ নজর দেয়নি। তা নজরে আসার পর নিয়োগ নিয়ে তৎপরতা তৈরি হয়েছে।’

এদিকে কলকাতায় যাতে বেআইনি নির্মাণ ঠেকানো যায় সেই জন্য একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। এবার বোইনি নির্মাণ সংক্রান্ত শুনানিগুলি যাতে কোনওভাবেই দেরিতে না হয় সেই জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে বড় পদক্ষেপ করা হয়েছে। আর সেই কারণে তিন জন হিয়ারিং অফিসারও নিয়োগ করা হবে ।

Illegal Construction In Kolkata : বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে অবলুপ্ত গার্ডপ্রথা ফিরিয়ে আনছে পুরসভা

জানা গিয়েছে, নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তবে নিয়োগের জন্য নবান্নের সবুজ সংকেত প্রয়োজন। তা পাওয়া গেলেই কাজে নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে কর্মরত হিয়ারিং অফিসারের সংখ্যা এক জন। এদিকে একাধিক বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত শুনানি রয়েছে। তাঁর একার উপর গোটা দায়িত্ব এসে পড়ছে। বেআইনি নির্মাণ ঠেকানোর জন্য শুনানি যাতে কোনওমতেই গতি না হারিয়ে ফেলে এবং একজনের উপর যাতে শুধুমাত্র ভরসা করতে না হয় সেই কারণে এই পদে নিয়োগের জন্য তৎপরতা দেখা গিয়েছে পুরসভার অন্দরে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version