পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার কথা বলেছে তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি বাবলা সরকার। তাঁর বক্তব্য, উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের কোনও নিয়ম মানছে না। রাস্তায় অশ্লীল আচরণ আগেই করেছিলেন, এবার তাঁর প্রচারে দেখা গেল বাচ্চাদের ব্যবহার করতে। মানুষের কাছে এটা ভুল বার্তা যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
যদিও এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি করেছেন উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। তাঁর কথায়, নির্বাচন বিধি মেনে চলাটাই আমাদের কাজ। এখন প্রচারে বেরিয়ে দেখছি, বাচ্চারাই আমাদের সামনে চলে আসছে। বাচ্চারা সবাই উৎসাহিত হয়। তাঁদের বাবা-মা’রা রয়েছে, সেই কারণে তাঁরাও চলে আসছে। তাঁদেরকে প্রচারে কোনওভাবেই কাজে লাগানো হয়নি বলে তাঁর দাবি।
উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার চাঁচলের সিহিপুর গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর এক যুবতীর গালে চুমু খাওয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ভিডিয়ো নিজেদের প্রোফাইলে ব্যাবহার করে এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বিষয়টি নিয়ে খগেন মুর্মু সাফাই দেন, এটা তৃণমূলের তরফে অপপ্রচার করা হচ্ছে। ওই মেয়েটি আমার মেয়ের মতো। বিজেপি এক কর্মীর মেয়ে সে।
তবে এবার আরও একটি নতুন বিতর্ক সামনে এনে বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুকে আক্রমণ শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে অবশ্য গতবারের জয়ী সাংসদ তিনি। এবার এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগেই পুলিশের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।