বর্তমান রাজনীতিতে শাসক হোক বা বিরোধী, ‘কুকথা’ যেন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মুখে রাজনৈতিক সৌজন্যের কথা বলা হলেও অনেক সময়ই তা বাস্তবের মাটিতে দেখা যায় না। তবে এবার সেই রাজনৈতিক সৌজন্য দেখা গেল বাম ও তৃণমূল প্রার্থীর মধ্যে। বয়সে বড় বাম প্রার্থীকে প্রণাম করতে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী। পালটা বাম প্রার্থী আবার ‘ভালো থাকা’র বার্তা দিলেন তৃণমূল প্রার্থীকে।ঘটনা বরানগর বিধানসভার। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই উপনির্বাচন হতে চলেছে বরানগরে। ইতিমধ্যেই সেই কেন্দ্রে প্রার্থীও ঘোষণা করেছে একের পর এক দল। ওই কেন্দ্রে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির টিকিটে লড়ছেন সজল ঘোষ। অন্যদিকে আবার তন্ময় ভট্টাচার্যের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে বামেরা। আর প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরেই প্রচারে নেমে পড়েন তন্ময়। সেই প্রচারের সময়ই দেখা গেল সৌজন্যের ছবি।

প্রচারের মাঝে হঠাৎই মুখোমুখি হন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তন্ময় ভট্টাচার্য। একে অপরের সঙ্গে হেসে কথা বলেন তাঁরা। তন্ময়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেও যান সায়ন্তিকা। যদিও তন্ময় জানান, তিনি নিজে কাউকে প্রণাম করেন না, আবার কারও পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম নেনও না। সায়ন্তিকাকে ‘ভালো থাকা’র কথা বলে সেখান থেকে বিদায় নেন তন্ময়। পরে সায়ন্তিকা বলেন, ‘তিনি (তন্ময় ভট্টাচার্য) অনেক সিনিয়র রাজনীতিবিদ। আমার প্রণাম করাটাই সৌজন্য। ওঁর দল আলাদা হতে পরে, আদর্শ আলাদা হতে পারে, কিন্তু আমরা তো আমাদের শিক্ষা সংস্কৃতিকে ভুলে যেতে পারি না। তাই ওঁকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে ইচ্ছা করল, করলাম।’

কিছুদিন আগে এই ধরনের সৌজন্য দেখা যায় ব্যারাকপুরেও। সেখানে এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তরিৎবরণ তোপদারের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। সেই সময় বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, ‘ওঁর আশীর্বাদ ছাড়া ব্যারাকপুরে অনেক কিছুই হয় না, ওঁর আশীর্বাদ আমি আগেই নিতে এসেছিলাম, এবারও এলাম।’ আর এবার রাজনৈতিক সৌজন্য দেখা গেল বরানগরের বুকেও। প্রসঙ্গত, বারনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তাপস রায়। তবে সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাপস। বিধায়ক পদেও ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তারপরেই ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version