নববর্ষের সকাল থেকে কল্লোলিনী কলকাতার বড় রাস্তা থেকে শুরু করে আনাচে কানাচে শোনা যাবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, শহরের ১৪৪টি ওয়ার্ডেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১৪৪টি ওয়ার্ডের অন্তর্গত ১৬টি বরো। সেক্ষেত্রে প্রতিটি বরোতে মাইক লাগিয়ে চালানো হবে রবীন্দ্র সংগীত। মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার একটি সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটি স্বতন্ত্র দিন উদযাপনের কথা ভেবেছেন। তাঁর কথা মতোই শহরে শোভাযাত্রা হবে।
শনিবারই রাজ্যকে শর্তসাপেক্ষে ‘বাংলা দিবস’ পালনের অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ বছর ১লা বৈশাখ প্রথমবারের মতো রাজ্যে পালন হতে চলেছে বাংলা দিবস। কমিশনের নির্দেশ, আদর্শ আচরণ বিধি জারি থাকায় অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্বে থাকবেন শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিকরাই। প্রসঙ্গত, বাংলা দিবস পালন করা ইতিপূর্বে নিয়ে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয়। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর বিধানসভা বাংলা দিবস পালনের প্রস্তাব পাস করা হয়। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। সেই কমিটিই প্রস্তাব দেয়, ১ লা বৈশাখ পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হোক। সেপ্টেম্বর সেই প্রস্তাব পাস হয়েছিল বিধানসভায়।
যদিও, এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার ২০ জুনকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেও ঐতিহাসিক কারণে ওই দিনটি নিয়ে আপত্তি তোলে রাজ্য সরকার। ২০ জুন রাজভবনে পালন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস। যদিও তাতে দ্বিমত প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার কমিটির সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে রাজ্য সরকার। সেখানে একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে বুদ্ধিজীবী, সমাজসেবী সহ সমাজের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে রাজ্য সরকারের তরফে পয়লা বৈশাখ দিনটিকেই বাংলা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।