চিকিৎসকের মানবিক মুখ ফের নজির গড়ল। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম এক যুবককে নিজেই রক্ত দিয়ে চিকিৎসা করালেন অমৃতা।বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের তৃতীয় বর্ষের পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি অমৃতা গণ নিজের রক্ত দিয়েই ওই যুবকের পাশে দাঁড়ান। রক্ত পাওয়া যাওয়ায় ওই যুবকের সুষ্ঠুভাবে অপারেশন সম্ভব হয়েছে। দিন কয়েক আগে বাঁকুড়া মেডিক্যালে ওই অস্ত্রোপচার হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রোগীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। রাজ্যের সরকারি, বেসরকারি অনেক হাসপাতালেই চিকিৎসকদের এমন নানা কাজ বা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কিছু সময় তা প্রচারে আসে, কিছু সময় আসে না। কিন্তু, এ রাজ্যেই প্রত্যন্ত গ্রামীণ হাসপাতালেও অনেক সময় কোনও পরিকাঠামো ছাড়াই বহু প্রাণ বাঁচানোর মতো ঘটনা রয়েছে। এই ঘটনাকে সামনে এনে অনেক চিকিৎসকই সোশ্যাল সাইটে লিখছেন, ‘…এরপরও ডাক্তারবাবুদের গায়ে অহেতুক হাত তুলবেন?’জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় পথ দুর্ঘটনায় জখম হন ২৭ বছরের এক যুবক। তাঁকে মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।। রোগীর পেটের মধ্যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। মাথাতেও অল্প বিস্তর চোট লাগে। তাই জরুরি অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে। সেইজন্য রক্তেরও দরকার হয়। নির্দিষ্ট গ্রূপের রক্তের জোগানও ছিল না ব্লাড ব্যাঙ্কে। রোগীর পরিবারের থেকেও সেই সময় রক্ত মেলেনি।

সেই সময় ত্রাতা হয়ে হাজির হন পিজিটি অমৃতা গণ। রক্ত দিয়েই অস্ত্রোপচারের টিমে ফের ফিরে আসেন অমৃতা। তারপর চিকিৎসক মানস গুমটা, ধ্রুবজ্যোতি মৌলিকের তত্ত্বাবধানে সফল অপারেশন করা হয়।

Bankura Medical College : ভিডিয়ো কলে হৃদরোগের চিকিৎসা, টেলি কার্ডিওলজির সুবিধা পাবেন ৩ জেলার বাসিন্দারা
এ ব্যাপারে এই সময় ডিজিটাল-কে অমৃতা বলেন, ‘রোগীর পরিবার রক্তের ব্যবস্থা করতে পারছিল না। ভাবার মতো সময় ছিল না। যত দ্রুত রক্ত দেওয়া যায়, তত ভালো হত। আমি রক্ত দিয়েছিলাম। এখন ওই রোগী ভালো আছেন। চিকিৎসক হিসেবে বিষয়টি আমার খুব ভালো লাগছে।’
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পঞ্চানন কুন্ডু ও সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘শুধু বাঁকুড়া নয়, আমাদের সন্তানসম পিজিটিরা ও অ্যানাস্থেসিয়ার টিম, বিশেষ করে অমৃতা গর্বিত করল গোটা চিকিৎসক সমাজকে। তাঁর কাজে অনুপ্রাণিত হবে অন্য চিকিৎসকরা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *