শনিবার মালদায় লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাজোলের মহাবিদ্যালয়ের মাঠে তিনি এদিন তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে জনসভা করেন। এরপর এদিন তাঁর মানিকচকে একটি সভা রয়েছে। এদিনের সভা থেকে একাধিক বিষয়ে BJP-কে বিঁধেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি বলেন, ‘এক নেতা এক দেশ, এক নেতা একটাই খাবার। বলছে মাছ খাবেন না খবরদার। মাংস খাবেন না খবরদার। ডিম খাবেন না। জবরদার, যা বলবে তা শুনতে হবে! কে কী বলবে তা আপনারা কেন বলবেন! আপনারা কেন শুনবেন! আমাদের এখানে মায়েরা নীল ষষ্ঠী, শীতলা ষষ্ঠী করে না! সেদিন কি তাঁরা উপোস করে না! উত্তরপ্রদেশে বন্ধ করে দিয়েছে, রাজস্থানে শুনেছি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলায় কিছু করতে পারে না কেন জানেন? কারণ এখানে আমি আপনাদের জন্য রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছি। এখানে হাত ছোঁয়াতে দেব না। ‘

পাশাপাশি দিল্লিতে সরকার গড়ার হুংকার শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘কর্মশ্রী, জব কার্ড হোল্ডারদের ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিলাম। আর কেউ যদি তাঁর বেশি করতে চান ৬০ দিনও করুন। এটা রাজ্য সরকার করবে। দিল্লি করবে না। এটা আমরা থাকলে হবে, দিল্লি থাকলে হবে না। দিল্লিতে আমাদের সরকার আসবে, বিশ্বাস রাখুন।’

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কাউকে কাউকে বলছে অনেক টাকা দেব। কাউকে বলছে পাঁচ কোটি দেব, কাউকে বলছে দশ কোটি দেব। তুই সাইলেন্ট থাক। আর ভোটটা আমার হয়ে করে নে। না হলে CBI-ED ধরবে। ওরা তো ক্ষমতাতেই আসবে না। বাংলায় ২০২১-এর নির্বাচনের আগে BJP কী বলেছিল? ইস বার ২০০ পার, ১০০-ও পার করতে পারেনি।’

তাঁর সংযোজন, ‘মালদা একটা বর্ধিষ্ণু এলাকা। মালদার থেকে শুধু ভোট নিয়ে গিয়েছে। বরকতদাকে শ্রদ্ধা করি। তিনি যতদিন ছিলেন আমাদের আপত্তি ছিল না। খগেন মুর্মুকে জিজ্ঞাসা করুন যখন বাংলার আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তখন কোথায় ছিলেন? মালদার মানুষ যখন বিপদে পড়েন তিনি কোথায় ছিলেন?’

তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, ‘লড়াইটা দিল্লির লড়াই। কিন্তু, দিল্লিতে বাংলার মানুষের হয়ে কথা বলার জন্য BJP-র যাঁরা জিতেছিল, কংগ্রেসের যাঁরা জিতেছিল, তাঁরা কোনওদিন বলেননি। ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিল কে? আমি করেছিলাম। বাংলায় আমরা একা লড়ছি। কংগ্রেস সিপিএম-এর নামে ভোট কাটে যাতে BJP-র হয়ে ভোটটা ভালো হয়। ‘

‘চপারে নাকি সোনা আর টাকা নিয়ে আসছে…’, অভিষেকের কপ্টারে আয়কর তল্লাশি, সরব মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘মালদার আম যাতে ইউরোপে যায় তার জন্য সমস্ত রকম পরিকাঠামো আমরা তৈরি করে দিয়েছি। মালদায় একটা সেন্টার তৈরি করে দিয়েছি। মালদা বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, আমরা চাইছি আরও ১০০ একর জমি পেলে তা বড় করে দেব, যাতে জেট নামতে পারে। মালদা বিমানবন্দর করেও ভাবছি আরও একটু ভালো করে করে দেওয়ার। করব যখন ভালো করেই করব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version