বিজেপিকে কোনওভাবেই সমর্থন করছেন না তাঁরা। কুড়মি সমাজের সমর্থিত নির্দল প্রার্থী দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে। তবে, শর্ত সাপেক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থনের বার্তা দিলেন ঝাড়গ্রামের নির্দল প্রার্থী সূর্য সিং বেসরা। এমনকি, তাঁদের শর্ত মেনে নিলে আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী বাবানোর জন্যেও তাঁরা সাহায্য করবেন বলে জানালেন নির্দিল প্রার্থী।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক দিলেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের সমর্থিত ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা ঝাড়খন্ড রাজ্যের ঘাটশিলা বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক সূর্য সিং বেসরা । রবিবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের সংবাদ ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে আদিবাসী কুড়মি সমাজের ঝাড়গ্রাম লোকসভার প্রার্থী সূর্য সিং বেসরা বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি কুড়মিদের এসটি তালিকাভুক্ত করতে হবে। ১৯১৩ সালে ১৩টি জাতির মধ্যে আদিবাসী তালিকায় কুড়মিরা ছিল। পরবর্তী কালে কুড়মিদেরকে এসটি তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কুড়মিদের যে আন্দোলন তা একেবারে যুক্তিপূর্ণ আন্দোলন।’

তাঁর কথায়, সংবিধানের আর্টিকেল ৩৪২ ধারায় প্রভিশন আছে যে কোনও সম্প্রদায় এসসি, এসটি, ওবিসির জন্য দাবি তুলতে পারে। কুড়মিদের পাশাপাশি গোর্খাল্যাণ্ডের আদলে জঙ্গলমহলকে শায়ত্বশাসন দিতে হবে। ভারতীয় নোটে অলচিকি হরফে লিখতে হবে। দূরদর্শন, রেডিওতে ২৪ ঘন্টা অলচিকিতে ব্রডকাস্ট করতে হবে। রেলস্টেশনে লোকাল ভাষা ঝাড়খণ্ডী, সাঁওতালি, কুড়মালি যেখানে যা আছে সে ভাষায় ঘোষণা করতে হবে।

‘আমি-অভিষেক টার্গেট, আমাদের জীবন নিতে পারে’ মন্তব্য মমতার

এরপরেই সূর্য সিং বেসরা বলেন, ‘জঙ্গলমহলে যে পাঁচটি আসন ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, মালদা আসনে যদি আমাদেরকে ছেড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তবে আমরা এই শর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য প্রস্তাব করছি। মমতার আছে ক্ষমতা। সে চালাতে পারবে দেশকে।’ তাঁর আরও দাবি, ইণ্ডিয়া জোটের মধ্যে অনেকে লড়াই করছে, কিন্তু তাঁদের মধ্যে কারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই। একমাত্র সেই ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতার মধ্যে রয়েছে।

‘BJP ফের ক্ষমতায় এলে গ্যাসের দাম ১৫০০ হবে’, দাবি মমতার
বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলে, ‘আমাদের শত্রু মমতা দিদি নয়, তৃণমূল নয়, আমাদের মূল শত্রু বিজেপি। গতবারে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবারে যদি আমাদের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতা হয়ে যায় তাহলে আমরা রাজ্য থেকে বিজেপিকে তাড়াতে পারবো।’ প্রসঙ্গত, এবার ঝাড়গ্রাম কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কালীপদ সোরেন। অন্যদিকে, বিজেপির তরফে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন প্রণত টুডু।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version