তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কলকাতার গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গত শুক্রবার প্রথম দফার নির্বাচনের দিন বিকেল ৪টে ১৭ মিনিটে এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন অমিত মালব্য। সেই ভিডিয়োতে অমিত দাবি করেন, জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেছেন মমতা। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এই সময় ডিজিটাল।অমিত মালব্য এই পোস্ট করার পরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। আর এবার পালটা অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে তানায় অভিযোগ দায়ের করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে চন্দ্রিমার অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে মহিলাদেরও সম্মানহানি করেছেন অমিত মালব্য। গেরুয়া শিবিরের ওই নেতা ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। অভিযোগে চন্দ্রিমা লিখেছেন, ‘অভিযুক্ত (অমিত মালব্য) নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে অসংসদীয় ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও তাঁর ভাবমূর্তিতে ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত হানার চেষ্টা।’

অভিযোগপত্রের সঙ্গে অমিত মালব্যর এক্স হ্যান্ডেল পোস্টের স্ক্রিনশটও দিয়েছেন চন্দ্রিমা। রাজ্যের মন্ত্রীর দাবি, সমাজে বিভেদ ও বিদ্বেষ বৃদ্ধি করতে এবং শান্তি বিঘ্নিত করতে ওই পোস্ট করেছেন অমিত। এমনকী একজন মহিলা হিসাবে অমিত মালব্যর ওই তাঁকে পোস্ট শঙ্কিত করেছে বলেও দাবি করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। এই বিষয়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ এবং ৫০৯ ধারায় অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থও হয় তৃণমূল। সেই সময় শাসকদলের অভিযোগ ছিল, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসত্য খবর রটিয়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতা। কিছুদিন আগে রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের ভোট প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেছিলেন অমিত। সেই পোস্টেই আপত্তি তোলে তৃণমূল, দ্বারস্থ হয় কমিশনের।

এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টে অমিত মালব্য লেখেন, ‘তৃণমূল মতুয়া সম্প্রদায়কে ঘৃণা করে, আরও বেশি করে ঘৃণা করে দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) চালু হওয়ার পর থেকে।’ সেই পোস্টের প্রেক্ষিতে তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই মিথ্যা কথা বলছে বিজেপি। সাম্প্রদায়িক বিবাদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version