ঠিক কী অভিযোগ তাঁর?
এই তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘দলে বার বার অপমানিত হচ্ছি। আমি বহিরাগত, অনুপ্রবেশকারী, এই সমস্ত কথা বিজেপি সিপিএম বলছে না, বলছে আমার দলের লোকেরাই। আমি সব কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাতে যাব কেন স্থানীয় নেতারা যখন আছেন?’
বলাগড় তৃণমূল নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে। তিনি বলেন, ‘আমাকে একটা চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছে, আমার কী অধিকার রয়েছে? নির্বাচন পরিচালনার জন্য আমাকে কী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে? কতখানি সক্ষমতা আমার রয়েছে? সবইতো তারা নিজেদের হাতে কেন্দ্রীভূত করে রেখেছে? আমি শো পিস। যেভাবে কমিটি তৈরি হয়েছে সেখানে তাদের মন মত লোককে রাখা হয়েছে। আমার মন মতো কেউ নেই। চেয়ারম্যানের নিজের পছন্দের দুটো লোক থাকতে পারবে না কমিটিতে?’
আমি যদি সাংসদ হয়ে আসি তাহলে এটা প্রথম নিশ্চিত করব যে কারও মধ্যে কোনও মনোমালিন্য যাতে না থাকে
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি তৃণমূল প্রার্থী
তিনি আরও বলেন, ‘দিদির আদেশে তৃণমূল দলটাকে শক্তিশালী করতে চেয়েছি। গত তিন বছরে আমি সাধ্যমত সেটা করেছি। স্থানীয় নেতাদের তা মনঃপুত নয়। স্থানীয় নেতারা জনপ্রিয়তায় নীচে চলে যাচ্ছে, তাই তাঁদের … (বিশেষ শব্দ প্রয়োগ)।’ এদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘
আমার তো মনে হয় না। আমরা একটা লোকসভা নির্বাচনে লড়তে এসেছি। তৃণমূল ভালো সংগঠন। এখানে সকলে মিলে মিশে কাজ করি। মতোবিরোধ হয়তো থাকতে পারে। তবে সবসময় এটা মনে রাখতে হবে যে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’ মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বক্তব্য থামানো প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে রচনা বলেন, ‘আমি দেখিনি। আমি জানি না । না জেনে মন্তব্য করব না। আমি দেখার পর মন্তব্য করব কেন হয়েছিল কী হয়েছিল।’
পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘আমি যদি সাংসদ হয়ে আসি তাহলে এটা প্রথম নিশ্চিত করব যে কারও মধ্যে কোনও মনোমালিন্য যাতে না থাকে। সকলে এক হয়ে কাজ করব।’