এই সময়: হাইকোর্ট সোমবার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর নিয়োগ বাতিল করায় প্রশ্ন উঠেছে, এমনিতেই টিচার-স্টাফের অভাবে ধুঁকতে থাকা রাজ্যের স্কুলগুলি চলবে কী ভাবে! ভোটের কাজেও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। কারণ ভোটকর্মীদের একটা অংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনুমোদিত হাজার দশেক স্কুলে আপাতত গরমের ছুটি চলছে। কিন্তু স্কুল খুললে কী হবে? কোনও স্কুলে সাত জন, কোথাও ছ’জন, কোথাও চারজন শিক্ষক বা শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে। অনেক স্কুলের একমাত্র গ্রুপ সি বা গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরিও আর থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয়, বুঝতে পারছেন না প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

মালদহের মোথাবাড়ি পঞ্চানন্দপুর সুকিয়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা কামাল জানান, পঞ্চম থেকে দ্বাদশে তাঁদের স্কুলে ২,৮০০ জন পড়ুয়া। সোমবার সেখানকার সাত শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। মোস্তাফার কথায়, ‘একাদশ-দ্বাদশে এডুকেশন ও পলিটিক্যাল সায়েন্সে এবং মাধ্যমিকে বিজ্ঞানের আর কোনও শিক্ষক থাকলেন না। গ্রুপ ডি-র তিনটি পোস্ট থাকলেও ছিলেন একজন কর্মী, তাঁর চাকরিও গিয়েছে।’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির নিশ্চিন্তপুর রাখাল দাস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিয়কুমার মণ্ডল জানান, তাঁদের স্কুলে চারজন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। অথচ এঁদের কারও নামে কখনও কোনও অভিযোগ ওঠেনি। স্কুলে আড়াই হাজার পড়ুয়া। উচ্চ মাধ্যমিকে নিউট্রিশন, ফিজ়িক্স এবং বায়োলজির একজন করেই শিক্ষক ছিলেন।
চাকরিহারাদের অনেকের ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার কথা ছিল। প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তাঁরা।

কিন্তু চাকরি যাওয়ার পর তাঁদের আর ভোট-ডিউটিতে রাখা যাবে না বলে মনে করছে আইনজ্ঞ মহল। সে ক্ষেত্রে বিকল্প লোক খুঁজতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। আগামী ২৬ এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট। মাত্র তিনদিনের মধ্যে বিকল্প পাওয়া সহজ হবে না বলেই মত প্রশাসনিক মহলের। তবে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী সোমবার বলেন, ‘ভোটকর্মীদের কেউ আসতে না পারলে বিকল্প ব্যবস্থা থাকে। সে জন্য ২০-২৫ শতাংশ রিজ়ার্ভ ভোটকর্মী থাকেন। তা দিয়ে আমরা ভোট করাতে পারব। সিদ্ধান্ত নেবেন জেলাশাসকরা। এখনও পর্যন্ত আমাদের কোনও ক্রাইসিস নেই।’

তিনি জানান, রিজ়ার্ভ ফোর্সে থাকা ভোটকর্মীদের ব্যাপারে ডিসি অফিসে প্রয়োজনীয় চিঠি চলে গিয়েছে। ভোটের ডিউটি বণ্টনের দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের রিপ্লেস করা হবে রিজ়ার্ভ কর্মী দিয়ে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version