এই সময়, অশোকনগর: একশো মিটারের ব্যবধানে দুই আলাদা কর্মসূচি ঘিরে ভোটের মুখে অস্বস্তিতে বিজেপি। যা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে বারাসত কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারকে। অস্বস্তিতে পড়েছেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতৃত্বও। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে চাননি কেউ।শনিবার অশোকনগর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের সমর্থনে দু’টি কর্মসূচি ছিল। প্রথম কর্মসূচিটি ছিল অশোকনগর বিল্ডিংমোড় সংলগ্ন চড়ুইভাতি ভবনে। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক সুজয় দে। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার, সহ-সভাপতি নবনীতা চক্রবর্তীরা।
এর ঠিক ঢিলছোঁড়া দূরত্বে বিজেপির অন্য একটি গোষ্ঠী পৃথক একটি কর্মসূচি নেয়। এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা ছিলেন সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী। এখানেও এসেছিলেন প্রার্থী স্বপন মজুমদার। বিজেপির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রাক্তন এবং বর্তমান সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই একই দিন দু’টি কর্মসূচি নেওয়া হয়।
এর ঠিক ঢিলছোঁড়া দূরত্বে বিজেপির অন্য একটি গোষ্ঠী পৃথক একটি কর্মসূচি নেয়। এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা ছিলেন সংগঠনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর চক্রবর্তী। এখানেও এসেছিলেন প্রার্থী স্বপন মজুমদার। বিজেপির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রাক্তন এবং বর্তমান সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরেই একই দিন দু’টি কর্মসূচি নেওয়া হয়।
বিজেপির দু’টি অনুষ্ঠানেই যোগ দিয়ে দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সরিয়ে রাখার আবেদন জানিয়েছেন স্বপন মজুমদার। সুজয় দে বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ভুলে ভোটে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রার্থী। সেই নির্দেশ আমরা মেনে চলছি।’ অন্য দিকে, দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘আমার অন্য একটি কর্মসূচি ছিল। তাই প্রথম কর্মসূচিতে যেতে পারিনি। আমাদের মধ্যে কোথাও দ্বন্দ্ব নেই।’
এ প্রসঙ্গে বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, ‘ভোটের জন্য আলাদা আলাদা কর্মসূচি হতেই পারে। কোথাও নিজেদের মধ্যে লড়াই নেই৷ আমাদের লড়াই শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে।’ কটাক্ষ করে অশোকনগরের তৃণমূল নেতা গুপি মজুমদার বলেন, ‘অশোকনগরে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে সেটা সবাই জানে। আগে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাক, তারপর তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করতে আসুক।’