প্রথম দুই দফার তুলনায় তৃতীয় দফার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। তবে, কমিশনের পাখির চোখ মুর্শিদাবাদ। সেই কারণে, এই জেলায় দুটি (একটিতে পরের দফায় নির্বাচন) লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বাড়তি বাহিনী থাকছে।নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তৃতীয় দফায় ৪ আসনের জন্য ৩৩৪ কোম্পানি থাকবে। মালদা উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে ১৪৪ কোম্পানি। তৃতীয় দফায় শুধু মুর্শিদাবাদ জেলায় সব থেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। তিন আসনের জন্য থাকবে। ১৯০ কোম্পানি। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় ১১৪ কোম্পানি, জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় ৬৪ কোম্পানি ও কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলায় ১২ কোম্পানি থাকবে।

তবে, রাজ্যের জন্য সর্বাধিক ৬৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে পারবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাও শুধুমাত্র শেষ দুটি ধাপের জন্য। অর্থাৎ, প্রথমে নির্বাচন কমিশনের তরফে যে ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, তার থেকে ২৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কম পাঠাতে পারবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও কমিশনের সূত্রে খবর, সমস্ত বুথে যথেষ্ট পরিমাণে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, আশঙ্কা একটাই যে নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি পর্বে বাহিনীর ঘাটতি নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে আপস করা না হয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ দফায় ১৫,৫৯২টি ভোটকেন্দ্র সহ আটটি সংসদীয় আসনে এবং সপ্তম ধাপে ১৭,৪৫৪টি ভোটকেন্দ্র সহ নয়টি সংসদীয় আসনে যথাক্রমে ২৫মে এবং ১জুন ভোটগ্রহণ হবে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘যেহেতু এই দুই ধাপে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি তাই বেশিরভাগ বাহিনী বুথ পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা হবে। আমরা কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)-এর জন্য বাহিনী মোতায়েন করতে এবং টহল দায়িত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি।’

Mamata Banerjee : বিজেপিকে সন্তুষ্ট করতে ৩ মাস ভোট, ক্ষোভ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের জন্য CAPF-এর 920 কোম্পানি চেয়েছিল, যা অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ। তারপরে জম্মু ও কাশ্মীরে 635 কোম্পানি, ছত্তিসগড়ে 360 কোম্পানি, বিহারে 295 কোম্পানি, উত্তর প্রদেশে 252 কোম্পানি চাওয়া হয়েছিল। কমিশনের এক কর্মকর্তার মতে, “কমিশন মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কিন্তু CAPF-এর অনুমোদন সম্পূর্ণরূপে মন্ত্রকের উপর নির্ভর করে৷ অন্যান্য পরিমিতি রয়েছে যা তাঁরা রাজ্যে বাহিনী কমিশন করার আগে বিবেচনা করবে।’

Election Commission: ভোট শতাংশে গরমিল? বিরোধীদের প্রশ্নে ইসি
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রাজ্যে CAPF-এর 596টি কোম্পানি রয়েছে যা নির্বাচনের তৃতীয় এবং চতুর্থ ধাপে ভোট কেন্দ্রগুলি পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হবে। নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত মোতায়েন ছাড়াও বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাহিনী ব্যবহার করা হয়। আরও 28টি কোম্পানি আসবে, 20 মে পঞ্চম পর্বের আগে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বেড়ে হবে 624 কোম্পানি। যাদের নিয়ে যেখানে সাতটি সংসদীয় আসনে ভোট হবে। ১৩,৪৭৫টি ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে থাকবে বাহিনী।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version