রাহুলের আসন পরিবর্তন করা নিয়েই এদিন বর্ধমানের সভা থেকে কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদী। মোদী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম শাহেজাদে, ওয়েনাড় থেকে উনি হেরে যাবেন। ভোটদানের পর উনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন, সেই কারণে অন্য কেন্দ্র খুঁজবেন। ওঁর অনুগামীরা বলছিল, উনি অমেঠি থেকে লড়বেন। কিন্তু অমেঠিতেও এমন ভয় পেয়েছেন, এখন রায়বরেলিতে রাস্তা খুঁজছেন।’
এদিন সকাল ১১টায় বর্ধমানে সভা করেন মোদী। তাঁর সভার কিছুক্ষণ আগেই রাহুল গান্ধী রায়বরেলি থেকে লড়ছেন সেই কথা ঘোষণা করা হয়। এদিনের মঞ্চ থেকেই রাহুলকে আক্রমণের সুযোগ খুঁজে নেন মোদী। তিনি বলেন, ‘এঁরা সারা দেশে ঘুরে প্রচার করে বলে ভয় পেও না। আমি এঁদের বলছি, মন থেকে বলছি – পালিও না। উনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।’
এদিনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি কংগ্রেসকেও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করতে ছাড়েননি মোদী। মোদী বলেন, ‘এখন দেশবাসী ভোটে জেতার জন্য লড়ছে না, দেশকে ভাগ করার জন্য লড়ছে।’ কংগ্রেস ধর্মের নামে সংরক্ষণ করতে চায় বলেও দাবি করেন মোদী। তাঁর কথায়, কংগ্রেস দেশে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কথা বলছে। এসসি, এসটিদের থেকে সংরক্ষণের অধিকার কেড়ে নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করবে।
উল্লেখ্য, জহরলাল নেহরুর আমল থেকে রায়বরেলী কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিহিত রাজনৈতিক মহলে। সোনিয়া গান্ধী এই কেন্দ্র থেকে না দাঁড়ানোর সম্ভাবনা সামনে আসতেই গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল এই কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেন তাঁর কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিজেও এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে এসেছেন। রাহুলের জন্ট এই কেন্দ্র ‘নিরাপদ’ বলে মনে করেছে কংগ্রেস। সেই কারণে এখান থেকে রাহুল গান্ধী নিজে এবং অমেঠি থেকে কিশোরীলাল শর্মাকে টিকিট দিয়েছে কংগ্রেস।