নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে বুথে গিয়ে হাজির হয়েছেন তাঁরা। অথচ, প্রত্যেককেই বলা হল, ভোটার তালিকায় তাঁরা মৃত। এরকমই ঘটনা ঘটতে দেখা গেল মালদায় একটি বুথে। ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরতে হল তাঁদের।তাঁরা জীবিত কিন্তু ভোটার তালিকায় তাঁরা মৃত বলেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে পারলেন না ইংরেজবাজারের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে তিনজনের খোঁজ পেলাম আমরা। ইংরেজবাজার শহরের গয়েশপুর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৯, ৯০ দুটি বুথে ভোট দিতে পারলেন না কার্যত নিরাশায় বাড়ি ফিরলেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাচন দফতরকেই এর জন্য দায়ী করেছেন তারা। যাঁরা ভোট দিতে পারলেন না তাঁদের মধ্যে একজন চিত্তরঞ্জন কুন্ডু। বয়স ৮০ বছর। ভোট দিতে পারলেন না ভোটার লিস্টে মৃত বলে বলা হয়েছে তাঁকে। কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভোট না দিয়ে। এর সঙ্গে রয়েছেন অনিমা পোদ্দার বয়স ৬৫ বছর। তিনিও ভোট দিতে পারলেন না, ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরতে হল তাঁকে।

আরও এক বাসিন্দা রাখি দাস গয়েশপুরে বাসিন্দার। তিনিও এসে তার ভোট দিতে পারলেন না ভোটার লিস্টে তিনি মৃত বলে দেখা দিচ্ছে কর্তব্যরত বুথে দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার। তিনিও ভোটদান করতে না পেরে ফিরে যান। যদিও, এই বিষয়টি নিয়ে প্রিসাইডিং অফিসার আলাদা করে কিছু বলতে চাননি।

Malda Lok Sabha Election : বোতাম টিপলেই পদ্মে ভোট! EVM নিয়ে অভিযোগ, উত্তেজনা মালদার বুথে
উল্লেখ্য, প্রথম দফার ভোটে এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের জটেশ্বর এলাকায় এক ভোটার ভোট না দিয়ে ফিরে আসেন। অন্যান্য বারের মতো ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি। ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁকে শুনতে হয় তিনি নাকি ‘মারা গিয়েছেন’। সেই কারণে তাঁকে ভোট দেওয়া থেকে বিরত রাখা হয়। কারণ, ভোটার তালিকা অনুযায়ী কাগজে-কলমে তিনি মৃত। ভোটদান করতে পারেননি সুনীল সাহা নাম এক ব্যক্তি। প্রথম দফায় এরকম আরও একটি ঘটনা ঘটে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে। ধূপগুড়ির বৈরাতীগুড়ি হাই স্কুলে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেননি এক মহিলা। তাঁর নাম বাসন্তী দাস। ১৫/১৮৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে গেলেও ভোটার তালিকায় তাঁকে মৃত বলে দেখানোয় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version