স্নেহা জানায়, প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি এত ভালো রেজাল্ট হবে। পড়াশোনার জন্য কোন নির্দিষ্ট বাঁধা ধরা সময় ছিল না যতক্ষণ ভালো লাগতো ততক্ষণই পড়াশোনা করতাম। সবথেকে বেশি ভালো লাগতো অংক করতে। টেস্টের আগে চেষ্টা করেছিলাম সিলেবাস কমপ্লিট করার। আগামী দিনে ইকোনোমিক্স পড়াশোনা করতে চাই । স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা আমাকে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। ইচ্ছে ছিল মাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট করার কিন্তু টিভিতে নাম না শোনায় ভেঙে পড়েছিলাম উচ্চমাধ্যমিকে ভালো রেজাল্ট হওয়ায় এখন অনেকটাই ভালো লাগছে।
সোহা বলেন, বোনের নাম শোনার পরেই খুব আনন্দ লাগছিল। আমারও ইচ্ছা ইকোনোমিক্স নিয়ে পড়াশোনা করা। পড়াশোনায় কোনও অসুবিধা হলে দু’জনেই দু’জনকে সাহায্য করতাম। দিদির সাফল্যে খুশি বোনও। মা অপর্ণা ঘোষ জানান, দুই মেয়ের সাফল্যে খুব আনন্দ লাগছে। দুই মেয়ে দশের মধ্যে জায়গা করে নেবে সেটা ভাবতে পারিনি। মাধ্যমিকের সময় মেয়ের ঠাকুমা আশা করেছিলেন, টিভিতে তাঁদের নাম বলবে। কিন্তু নাম না বলায় আশাহত হয়েছিলেন, আজ তিনি বেঁচে নেই । তিনি থাকলে আরও ভালো হতো।
উল্লেখ্য, বুধবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হল। বুধবার দুপুর ১টায় সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা করলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ১৬ ফেব্রুয়ারি। পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ২৯ ফেব্রুয়ারি। ফলত, পরীক্ষা শেষের প্রায় ৬৯ দিনের মাথায় এবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হল। চলতি বছরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭,৬৪,৪৪৮ জন।