ফের একবার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নামে পড়ল নিখোঁজ পোস্টার। তাও আবার চুঁচুড়াতে। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটে বাকি আর মাত্র সাত দিন। তার আগে নিখোঁজ পোস্টার নিয়ে তরজা চরমে। এর আগেও হুগলির বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়তে দেখা যায়। পান্ডুয়া,চন্দননগর সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়ে। তৃণমূলের তরফেও অতীতে একাধিকবার অভিযোগ তোলা হয়, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় তার সংসদীয় এলাকায় দেখা যেত না।লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ার পর থেকে বিজেপির এক অংশের মধ্যেই ক্ষোভ দেখা যায় বলে দাবি স্থানীয় গেরুয়া শিবিরের কর্মীদেরই একাংশের। দিন দুয়েক আগে বিজেপি হুগলি জেলা অফিসে বিজেপির অন্তঃদ্বন্দ্বের ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। শনিবার বিজেপি বাঁশবেড়িয়ার দুই পদাধিকারী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। করেন।মূলত লকেট চট্টোপাধ্যায়ের উপর ক্ষোভ থেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছে বলে জানান তাঁরা। এদিন দেখা গেল লকেটের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া স্টেশন রোড,ফার্ম সাইড রোড সহ বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার পড়েছে।

সেখানে লেখা ‘সন্ধান চাই,নিখোঁজ,লকেট মানে পালাই। জানে হুগলি জানে সবাই। শেষ দেখা গেছে চুঁচুড়ায় ২০২১ এ ১৮০০০ ভোটে হারতে।’

চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার কটাক্ষের সূরে বলেন, ‘মানুষ যদি পোস্টার দেয় তাহলে তো কিছু বলার নেই। আমাদের দল এই ধরনের পোস্টার করেনি, করবেও না। সাধারণ মানুষ কাকে পেয়েছে না পেয়েছে তার উত্তর দেবে ২০ তারিখ। এসব নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই। লকেট ভোট এলে আসে। তবে অন্য সময় পাওয়া যায় কিনা, তা মানুষ বলবে। তবে ভোটের আগে ওকে অন্তত দেখিনি। মানুষ কী পেয়েছে মানুষ জানে।’

বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘যাঁরা অন্ধ তাঁরা দেখতে পান না। আর তাঁরাই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছে। আমার মনে হয় তাঁদের চোখের ডাক্তার দেখানো উচিত।’ এদিকে ভোটের আগে এই ধরনের পোস্টার, কোনও বিরুপ প্রভাব কি পড়তে পারে? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানুষ জানে মোদীজি তাঁদের জন্য কি করছে। মোদীজির সভায় ব্যাপক লোক হয়েছে। তাই ওরা এসব করছে।’

উল্লেখ্য, এবার হুগলি লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। একসময় একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন লকেট এবং রচনা। এখন দেখার এই দুই অভিনেত্রীর মধ্যে কাকে মানুষ বেছে নেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version