২০১৯ এবং ২০২১ সালের নির্বাচনে গৃহবন্দি থাকতে হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকেই। কিন্তু, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতেও ‘চড়াম চড়াম’, ‘গুড় বাতাসা’ মতো কেষ্ট বাচন নিয়েই চর্চা চলছিল।
কিন্তু, ২০২২-এ তাঁর গ্রেফতারির পর বীরভূমে ‘কেষ্ট স্টাইল’-এই চালাতে হবে দল, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। গড়া হয়েছে কোর কমিটিও। সেখানে কাজ শেখের বিয়োজন-সংযোজন পর্ব চলেছে। কিন্তু, অনুব্রতর শূন্যস্থান কি আদৌ পূরণ হয়েছে?
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় তৃণমূল কর্মীর কথায়, ‘আসলে কেষ্টদা না থাকলে শুধু বীরভূম নয়, গোটা রাজ্যের নির্বাচনই কেমন যেন মিইয়ে যাচ্ছে। চোখা চোখা ডায়লগ কই! ভালো মন্দের বিচারে যাব না, তবে কেষ্টদার বুলি নিয়ে তো কম চর্চা হয়নি। আর দাদা থাকলে আজকের দিনটাই অন্য রকম হত।’
ভোটের দিন সাধারণত শিবের মাথায় জল ঢালার পর বাড়ি থেকে বার হতেন তিনি। এরপর তিনি পৌঁছে যেতেন নেতাজি রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে। পার্টি অফিসে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজনও করা হত। ভোট উৎসবের ছোঁয়া লাগত দলীয় কার্যালয়েও। কিন্তু, সেই সমস্ত কিছু এখন অতীত।
যদিও দলীয় নেতৃত্ব অনুব্রত মণ্ডলের উপর ভরসা প্রদর্শনে কোনও খামতি রাখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে করা বৈঠকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, জেলায় যেভাবে দলকে সঞ্চালনা করতেন অনুব্রত মণ্ডল, সেই কায়দাতেই চালাতে হবে দল। কিছুদিন আগেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, ‘মনে রাখবেন কেষ্ট রয়েছেন আমাদের মাথার উপর।’ একসময় প্রচারে অনুব্রতকে ‘বাঘ’ বলে সম্বোধন করেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।