রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত চরম পর্যায়ে। এর মাঝেই রাজ্যের আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঝাড়গ্রামের সাধুরাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়, তারকেশ্বর রানি রাসমণি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঠাকুরনগরের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য নিয়োগ করলেন তিনি।এদিকে, রাজ্যপাল তাঁর মিশন সমবেদনার অংশ হিসাবে ক্যান্সার রোগীদের জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ চালু করলেন। সমাজের দরিদ্র ও প্রান্তিক অঞ্চল থেকে মোট ১০০ জন মহিলা ক্যান্সার রোগীকে সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইমেল বা ডাকযোগে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করা হচ্ছে। ইমেল: governor-wb@nic.in এবং sr.spl.secretary.rajbhavan@gmail.com ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর রাজ্যের আরও তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ রাজভবন সূত্রে খবর, ঝাড়গ্রামের সাধুরাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন অধ্যাপক কল্লোল মজুমদার। হুগলির তারকেশ্বর রানি রাসমণি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঠাকুরনগরের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশুতোষ ঘোষকে। অর্থাৎ, দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব সামলাবেন একজন-ই ৷

গত এপ্রিল মাসে রাজ্যের অনুমোদিত তথা উচ্চশিক্ষা দফতরের পাঠানো নামের তালিকা থেকেই ভাস্কর গুপ্তকে যাদবপুরের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল বোস। এরপর আরও দুজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, রাজ্যের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ শূন্য রয়েছে, সেখানে ৬ জন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল। এরপর রাজ্য সরকার প্রস্তাবিত 8 জনকে গত এপ্রিলে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। আগেই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছিল। সোমবার ফের দু’জনকে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হল।

CV Ananda Bose : কী হয়েছিল রাজভবনে? পূর্ত দফতর থেকে এল CCTV ফুটেজ, তদন্তে লালবাজার
গত কয়েকসপ্তাহে একাধিক ঘটনাপ্রবাহে রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে থেকেছে। গত সপ্তাহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। সেই মহিলা হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্তের এক্তিয়ার না থাকায় একটি স্পেশাল অনুসন্ধান দল গঠন করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। রাজভবনের কাছে সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ না দেওয়া হলেও সেটা শেষ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। পূর্ত দফতরের কাছ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version