আগামী ২৫ মে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে। ষষ্ঠ দফায় এই কেন্দ্রের নির্বাচন। হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি, তার আগেই অভিনব কায়দায় প্রচার শুরু করলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ সুভাষ সরকার। জনগণের মন পেতে এবার পুরনো পন্থায় ফিরে গেলেন বিজেপি প্রার্থী।ভোট বড়ই বালাই। মানুষের সমর্থন পেতে এবার অভিনব পন্থা অবলম্বন করছেন সকল রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। এইবারে লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া থেকে ফের আরেকবার বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ সুভাষ সরকার। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচার পর্ব তো চলছিল। এবার ভোট প্রচারের জন্য এক অভিনব পন্থা তিনি গ্রহন করলেন। নিজে হাতে পোস্ট কার্ডে চিঠি লিখে মানুষের মধ্যে বিলি করে দিল্লির সরকার গড়ার জন্য ভোট চাইলেন।

বিভিন্ন পেশার মানুষের জন্য ওই পোস্ট কার্ড তৈরি করা হয়েছে। সেই কার্ডে বাংলায় বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এরকম কয়েক হাজার পোস্ট কার্ড ছাপিয়ে বাড়ি-বাড়ি, বিভিন্ন পেশাদার ব্যক্তির দোকা, কর্মস্থলে বিলি করছেন বিজেপি প্রার্থী।

সুভাষ বাবু জানান, সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের সঙ্গে হৃদয়ের যোগাযোগ তৈরি করাটাই আমার লখ্য। সেই কারণেই আমার এই চিঠি লিখা। এই চিঠি সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে যাবে। আজকাল পোস্ট কার্ড বা হাতে লেখা চিঠি প্রায় বিলুপ্ত বললেই চলে। সেটাকে আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা। তাই পুরনো সংস্কৃতিকে তুলে ধরা জন্যেই এই ধরনের পন্থা অবলম্বন করা হল বলেই জানান তিনি। দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে অভিনবত্ব।

‘১ নম্বর বোতাম টিপে EVM চেক করতে বলছে’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সুভাষের
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি প্রার্থী। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিশেষত রানীবাঁধ, রাইপুর ও তালডাংরা এই তিন বিধানসভা কেন্দ্র আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা। সেই এলাকায় অলচিকি ভাষায় দেওয়াল লিখতে দেখা যায় তাঁকে। মূলত, আদিবাসী ভোটারদের কাছে টানতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর আগে একটি রোড শোতে নিজের জুতো পালিশ করতেও দেখা যায় তাঁকে। বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে লালবাজার পর্যন্ত বিশেষ র‍্যালিতে সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের জন্মদিন উপলক্ষে জুতো পালিশ করেন জনসমক্ষে। কোনও কাজই ছোট নয়, মানুষের সামনে সেই বার্তা তুলে ধরতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বিজেপি প্রার্থী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version