এরপর একে একে ভাঙড়-২ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক হন, জেলা কমিটির সম্পাদক হন। বর্তমানে তিনি বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি। ২০১৬ সালে তিনি ভাঙড় বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, আইএসএফ প্রার্থীদের মধ্যে চতুর্মুখী লড়াই চলছে।
তার মধ্যে হঠাৎ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় দলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৩৩ ভোট। এর মধ্যে অবনীর নেতৃত্বে ভাঙড় বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ২৪ হাজার ৯৬৩টি ভোট।
২০২১ সালে বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী সৌমি হাতি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ভাঙড়ে পেয়েছিলেন ৩৮ হাজার ৭২৬ ভোট। যে কেন্দ্রে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে অবনী কোন সমীকরণে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়ালেন, তা নিয়ে সন্দিহান দলের নিচুতলার কর্মীরা। অবনী ঘনিষ্ঠ এক কর্মী বলেন, ‘অবনীদা যোগ্য সম্মান পাচ্ছিলেন না।
তাই হয়তো নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইছেন।’ ভাঙড়ের তৃণমূল নেতাদের অবশ্য বক্তব্য, ‘মানুষ ঘাসফুল ছাড়া আর কোথাও ভোট দেবেন না।’