এই সময়, ভাঙড়: যাদবপুরে চলছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্ব। সেখানেই বড় চমক দিলেন জেলার বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডল। চার দিন আগে আলিপুরে জেলাশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছেন অবনী। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। দলের দাপুটে নেতা, যিনি কয়েক দিন আগে পর্যন্ত দিন রাত এক করে প্রচার করছিলেন, তিনি হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় চিন্তিত বিজেপি নেতৃত্ব।অবনীর কথায়, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।’ এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের। দলীয় সূত্রের খবর, অবনী মণ্ডল ভাঙড় ২ ব্লকের রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় একজন শিক্ষানুরাগী মানুষ হিসাবে পরিচিত। ১৯৭৮ সাল থেকে সিপিএম করতেন। ১৯৯৩ সালে ভাঙড়-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নির্বাচিত হন।

এরপর একে একে ভাঙড়-২ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক হন, জেলা কমিটির সম্পাদক হন। বর্তমানে তিনি বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি। ২০১৬ সালে তিনি ভাঙড় বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, আইএসএফ প্রার্থীদের মধ্যে চতুর্মুখী লড়াই চলছে।

তার মধ্যে হঠাৎ বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় দলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা পেয়েছিলেন ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ২৩৩ ভোট। এর মধ্যে অবনীর নেতৃত্বে ভাঙড় বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী পেয়েছিলেন ২৪ হাজার ৯৬৩টি ভোট।

BJP In West Bengal: গেরুয়া শিবিরের বিক্ষুব্ধরাও বাংলায় ভোটে কাঁটা পদ্মের

২০২১ সালে বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থী সৌমি হাতি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ভাঙড়ে পেয়েছিলেন ৩৮ হাজার ৭২৬ ভোট। যে কেন্দ্রে বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে অবনী কোন সমীকরণে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়ালেন, তা নিয়ে সন্দিহান দলের নিচুতলার কর্মীরা। অবনী ঘনিষ্ঠ এক কর্মী বলেন, ‘অবনীদা যোগ্য সম্মান পাচ্ছিলেন না।

তাই হয়তো নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে বার্তা দিতে চাইছেন।’ ভাঙড়ের তৃণমূল নেতাদের অবশ্য বক্তব্য, ‘মানুষ ঘাসফুল ছাড়া আর কোথাও ভোট দেবেন না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version