আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় অন্যতম চর্চার বিষয় ঘাটালের BJP প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘মোয়ে মোয়ে’ মুহূর্ত। একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, প্রার্থী বলছেন, ‘জানি না কোন ভাষায় বলব, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি!’ সেই সময় হিরণের মুখে এই কথা শুনে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধ বলেন, ‘বাংলা কথাই বলো না!’এই ভিডিয়ো এখন নেটিজেনদের কাছে ‘হটকেক’।জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম হফনাম মান্ডি। ২০১৬ সালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন কেশপুরের BJP কর্মী বিনয় মান্ডি। এরপর SC ST কমিশন, থানা পুলিশ করেও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি BJP-র। প্রচারে বেরিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন হিরণ। সেই সময়ই পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে BJP প্রার্থী দাবি করেছিলেন তিনি ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। সেই সময়ই হফনাম, বিনয়ের প্রতিবেশী এই মন্তব্য করেন। এই পুরো দৃশ্যের কিছু অংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদার ভাইরাল। বিষয়টি নিয়ে এই সময় ডিজিটাল-এ মুখ খুললেন হিরণ।

তিনি বলেন, ‘গ্রামের মানুষ কতটা সরল হলে এই কথাটা বলতে পারে! যখন আমি সেই বাড়িতে গিয়েছি, শ্রীমতি মাণ্ডির স্বামী যাঁর স্বামীকে ২০১৬ সালের নির্বাচনের পর কেউ খুঁজে পায়নি, পুলিশ FIR করেনি, তিনি যখন কাঁদছেন, আমি তখন ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম।’

হিরণের সংযোজন, ‘যিনি এই কথা বলেছিলেন তিনিও কাঁদছিলেন। তাঁর চোখ জলে ভরে এসেছিল। তিনি বলছেন, আপনি বাংলা ভাষায় বলুন। কতটা সরল গ্রামবাসী। জনজাতি সম্প্রদায়কে নিয়ে তৃণমূল নেতারা আগেও কটাক্ষ করেছে। কেশপুরের একটা গ্রামের মানুষকে নিয়ে যেভাবে ট্রোল করা হল তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। কেশপুরের সরল সাদাসিধে মানুষ। যাঁরা যাঁরা ট্রোল করেছেন, তাঁদের সকলের হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি ওই ব্যক্তি এবং কেশপুরের মানুষের কাছে।’

হিরণের ‘মোয়ে মোয়ে’ মোমেন্ট! প্রার্থীকে বাংলায় কথা বলতে বলা ভাইরাল কাকু কে জানেন?

উল্লেখ্য, হিরণ BJP বিধায়ক। তাঁকে এই প্রথমবার লোকসভা ভোটে নামাল গেরুয়া শিবির। প্রতিপক্ষ দুই বারের জয়ী সাংসদ দেব। একসময় অভিনয় করতেন হিরণ। কিন্তু, আপাতত হিরণ পুরোপুরি রাজনীতিতে নিজেকে সমর্পণ করেছেন। প্রচারের মাঝে প্রতিপক্ষ দেবকে বিভিন্ন ইস্যুতে আক্রমণ করছেন তিনি। কিন্তু, দেব রাজনীতিক হিসেবে বরাবর সংযত। তিনি হিরণকে পালটা আক্রমণের পথে হাঁটেননি। বরং অনেকটাই সংযত তিনি। মানুষ যাঁকে বেছে নেবে জয়ী তিনিই হবেন, বক্তব্য তাঁর। এখন দেখার ঘাটালে শেষ হাসি এই দুই তারকার মধ্যে কে হাসেন?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version