বুধের দুপুরে অমিত শাহের কণ্ঠে সত্যজিৎ রায় প্রসঙ্গ। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এদিন তিনি হুগলির মশাটে সভা করেন। এদিনের সভা থেকেই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন তিনি। তাঁর নিশানায় ছিল রাহুল গান্ধীও। ‘পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি’ প্রসঙ্গ তুলে তিনি একসঙ্গে নিশানা করেন তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে।এদিকে ভর দুপুরে গমগমে ভাষণে অমিত শাহের কণ্ঠে উঠে আসে সত্যজিৎ রায়ের প্রসঙ্গ। কালজয়ী সিনেমা ‘হীরক রাজার দেশে’ প্রসঙ্গ টেনে তিনি সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিন অমিত শাহ বলেন, ‘আমাদের সত্যজিৎ রায় অনেক বড় শিল্পী ছিলেন। তিনি একটি ছবি তৈরি করেছিলেন হীরক রাজার দেশে। অনেক জনপ্রিয় ছবি। কিন্তু, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনের সময় সত্যজিৎদা ছিলেন না। তা না হলে তিনি হীরক রানির নামের ছবি তৈরি করতেন।’

শাহের ‘সত্যজিৎদা’ সম্বোধন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা মনে রয়েছে! সেটা একটা ঘটনা মানছি। এরপর বিবেকানন্দের ভিটেতে গিয়ে মাল্যদান করার কথা ছিল অমিত শাহের। কিন্তু, তিনি ‘ছোড়’ বলে এগিয়ে গিয়েছিলেন। তা বলে বাঙালির আবেগ সত্যজিৎ রায়কে সত্যজিৎদা বলবেন? এটা তো তাঁকে তাচ্ছিল্য করে দেখা। আমাদের এখানে কেউ কি বলেন? সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মানিকদা বলতেন। তাঁর সেই অধিকার ছিল। কিন্তু, তা বলে মিটিং থেকে সত্যজিৎদা সম্বোধন? এতো বাংলার কৃতী সন্তানদের তাচ্ছিল্য করে দেখা! অর্মত্য সেনের সঙ্গেও এরা একই কাজ করেছে।’

অপর তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘এরা বাংলার সংস্কৃতিতে সবসময় ভুলুণ্ঠিত করেছে। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে।’ যদিও BJP নেতা রাহুল সিনহার দাবি, ‘দাদা কবে থেকে কটু কথা হল জানি না। দাদা বলার রীতি তো বাংলায় সব থেকে বেশি। অনেক সময় ছোটদেরও দাদা বলেন অনেকেই। সত্যজিৎ রায়ের থেকে সত্যজিৎদা বলাটা অনেক আপন করে নেওয়া বলে আমার মনে হয়। তাই তৃণমূল গোটা বিষয়টি বুঝে উঠতে পারছে না।’

তিন গুণ থেকে ১০০ টাকা বৃদ্ধি! বন্ধের হুঁশিয়ারিও, মমতার ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ নজর বিজেপিরও?

উল্লেখ্য, এদিন রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে অমিত শাহ বলেন, ‘গরম পড়লেই বিদেশে যান সনিয়া গান্ধী রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী করতে চান।’ একই সঙ্গে শাহের দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই ছাড়বে ভারত। এদিন শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীর বসুর প্রশংসা করে কল্যাণকে তোপ দাগেন অমিত শাহ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version