ভোট চলছে। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ৪ দফার নির্বাচন। এখনও বাকি ৩ দফার ভোটগ্রহণ। এর মধ্যে আগামী ২০ তারিফ পঞ্চম দফায় ভোট হতে চলেছে বাংলার ৭ কেন্দ্রে, যার অন্যতম হাওড়া। পঞ্চম দফার প্রচার শেষ হতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। তাই শেষ মুহূর্তে দলীয় প্রার্থীর প্রচার আরও জোরকদমে চালাচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতা কর্মী সমর্থকেরা। সেক্ষেত্রে মিটিং মিছিল সমাবেশের পাশাপাশি একদিকে যেমন চলছে ব্যানার পোস্টার সাঁটানোর প্রক্রিয়া, তেমনই অনেকেই নিজেদেরকে সাজিয়ে নিচ্ছেন দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে। বিষয়টা বুঝলেন না? আসলে হাওড়ায় বিভিন্ন দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের এখন দলীয় প্রতীকের আদলে করাচ্ছেন চুলের ছাঁট বা বডি পেইন্ট। আর অভিনব এই হেয়ার স্টাইল বা বডি পেইন্ট হাওড়ার ভোটের প্রচারে যেন বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে।হাওড়ার এক সেলুন মালিক রবীন দাস বিগত বহু বছর ধরেই ভোট বা বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টের সময় এই ধরনের হেয়ার কাটিং করে আসছেন। ফলে ভোট বা বিশ্বকাপের সময় তাঁর কাছে খুব স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায় মানুষের ভিড়। অনেকেই নিজের পছন্দের দলের প্রতীকের আদলে করিয়ে নিতে চান চুলের চাঁট। আর চাহিদা অনুযায়ী খুর ও কাঁচি চালিয়ে তা চুলের ছাঁটই ফুটিয়ে তোলেন রবীন দাস। ব্যক্তিগত ভাবে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকলেও যখন খুর-কাঁচি হাতে থাকে তখন তিনি শুধু চুল কাটার শিল্পী। কাস্টমারদের চাহিদা পূরণই তখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য।

চুলের ছাঁট তৈরিতে ব্যস্ত রবীন দাস


এই বিষয়ে রবীন দাস জানান, ২০০৩ সাল থেকে এই ধরনের হেয়ার কাটিং করে আসছেন তিনি। ২০০৬ সালে বিশ্বকাপের সময়েও কাস্টমারদের করে দিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের চুলের ছাঁট। নিজেকে একজন শিল্পী বলেই মনে করেন রবীন। তাই বিজেপি, তৃণমূল, কংগ্রেস বা সিপিএম, যে দলের কর্মী সমর্থকই তাঁর কাছে আসেন, তাঁদেরই চাহিদা অনুযায়ি হেয়ার কাটিং করে দেন তিনি। হাওড়ার ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে এই ধরনের হেয়ার কাটিংয়ের চাহিদা। আগামীদিনে আরও কাস্টমারের ভিড় বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন তিনি। এই বছর তৃণমূলের জন্য একটি থিম সংও করেছেন রবীন। ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে সেই গানের অডিয়োও।

অন্যদিকে রবীনের কাছে এই ধরনের হেয়ার কাটিং করিয়ে খুশি বিভিন্ন দলের কর্মী সমর্থকরাও। এককথায় বলতে গেলে এখন আর গোঁফ দিয়ে নয়, চেনা যাবে চুল দিয়েই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version