দিনে দুপুরে হাওড়া স্টেশন চত্বরে এক মহিলাকে ছুরি মেরে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। ঘটনায় ছড়াল তীব্র চাঞ্চল্য। আহত মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। অভিযুক্ত বালেশ্বর যাদবকে আটক করেছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। ওই মহিলার স্বামী পিন্টু বিশ্বাস জানান, ঠিক কী কারণে তাঁর স্ত্রীকে খুনের চেষ্টা, সেই বিষয়ে তিনি এখনও কিছু জানেন না।এদিকে জানা গিয়েছে আহত মহিলার নাম রিভু বিশ্বাস। বর্তমানে হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, পিন্টু বিশ্বাস তাঁর পরিবারকে নিয়ে মুম্বইতে বসবাস করেন। একটি হোটেলে কাজ করেন তিনি। সেখান থেকেই বালেশ্বর যাদবের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর স্ত্রীর। ঘটনার নেপথ্যে প্রণয়ঘটিত কোনও বিষয় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বনগাঁর ঠাকুরনগর এলাকার বাসিন্দা পিন্টু বিশ্বাস তাঁর স্ত্রী রিভু বিশ্বাস ছেলেমেয়েকে নিয়ে এদিন হাওড়া স্টেশনে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন মুম্বইবাসী বালেশ্বর যাদব। মুম্বইয়ে একই জায়গায় কাজ করেন পিন্টু এবং বালেশ্বর। ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পার্সেল ডিপার্টমেন্টের পাশে সবাই মিলে চা খাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময় হঠাৎ পিন্টুকে ওষুধ কিনতে পাঠান বালেশ্বর। অভিযোগ, পিন্টু যখন ওষুধ কিনতে যান, ঠিক সেই সময় রিভুর উপরে ছুরি নিয়ে হামলা চালায় বালেশ্বর। ছুরি সরাসরি পেটে ঢুকিয়ে দেয় বলেই অভিযোগ। যন্ত্রণায় ও রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই মহিলা। বিষয়টি নজরে আসতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান আরপিএফ কর্মী এবং অন্যান্য যাত্রীরা।

যদিও অভিযুক্ত ব্যক্তি অবশ্য সেখানেই থেমে য়ায়নি। ছুরি উঁচিয়ে সবাইকে হুঁশিয়ারিও দেয় সে। যদিও তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন আরপিএফ কর্মীরা। এরপর অভিযুক্ত বালেশ্বরকে গোলাবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে হাওড়া স্টেশন চত্বর এলাকায় হামলার চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হাওড়া বাস স্ট্যান্ডের উল্টোদিকে একটি চায়ের দোকানে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এক চায়ের দোকানের মালিক তাঁর দোকানের সামনে গাড়ি রাখায় প্রতিবাদ করেছিলেন, আর তাই নিয়েই বিবাদের সূচনা। তারপরেই চালান হয় হামলা। সেই ঘটনাতেও গোলাবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version