গ্রীষ্মকাল মানেই কালবৈশাখী এবং আমের মরশুম। কিন্তু এবারে দুটোরই দেখা নেই। এক সময় নদীয়ার শান্তিপুর এলাকায় প্রচুর আমবাগান ছিল। কিন্তু সেই সব গাছ কেটে জমির বিভিন্ন প্লট করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও এখনও অনেক গাছ আছে ওই এলাকায়। শান্তিপুরের হিমসাগর আমের স্বাদ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব জুড়ে। কিন্তু এই বছর আম বাগানে আম নেই সেরকম। এমনিতেই এই বছর আমের মুকুল কম এসেছিল। তারপর রুদ্র গ্রীষ্মের দাপটে যেটুকু ছিল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাগান মালিকরা বলছেন, অকাল বৃষ্টি এবং অনা বৃষ্টিই ফলন না হওয়ার মূল কারণ। শান্তিপুরের অর্থনীতির সঙ্গে আমবাগান ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। এই সময় বাগানে পরিচর্যা, তদারকি এবং ফল সংগ্রহের জন্য অভিজ্ঞ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই বছর সেরকম আম না হওয়ায় ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষের কাজ হারিয়েছে। বাগান মালিকদের অনুমান, বাজারে ১০০টাকা কেজিতে দরে আম বিক্রি হতে চলেছে।