হাওড়ার পর সন্তোষপুর। ফের স্টেশনে প্রকাশ্যে খুনের অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুর স্টেশনে। স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের কাছে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে অপর এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে জিআরপি। শুরু হয়েছে তদন্ত। ঘটনার জেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ সন্তোষপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে টিকিট কাউন্টারের কাছে শুয়ে ছিলেন মহম্মদ আজাদ নামে এক যুবক। অভিযোগ, হঠাৎই বুলবুল খান নামে এক যুবক ওই যুবকের উপর চড়াও হয়। লাঠি নিয়ে আজাদের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে বুলবুল। লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আজাদ। এরপরেই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে যায় বুলবুল। ইতিমধ্যেই খবর যায় জিআরপি-র কাছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তড়িঘড়ি ওই যুবককে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায় জিআরপি। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

ঘটনার পরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা স্টেশন চত্বরজুড়ে। অভিযুক্ত বুলবুলের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। গ্রেফতারও করা হয় তাকে। কেন বা কী কারণে আজাদের উপরে হামলা চালাল বুলবুল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ঘটনার নেপথ্যে পুরনো কোনও শত্রুতা, না কি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সেই সমস্ত বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জিআরপি সূত্রে খবর।

উল্লেখ্য বুধবার খুনের ঘটনা ঘটে হওড়া স্টেশন চত্বরে। এক মহিলাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে, নিউ কমপ্লেক্সের ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের বাইরে জলের ট্যাঙ্কের কাছে। নিহত মহিলার নাম রিভু বিশ্বাস। ঘটনায় অভিযুক্ত মুঙ্গেশ যাদবকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে নিহত মহিলার ও অভিযুক্তের মধ্যে একটি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে অভিযুক্ত বলেন, ‘ওই মহিলা আমাকে বিয়ে করবে বলে ডেকে পাঠিয়েছিল, অনেক টাকা নিয়েছিল আমার থেকে, কিন্তু বিয়ে করেনি, তাই প্রতিশোধ নিতেই এই কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই।’ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে মুম্বইতে থাকতেন ওই মহিলা। সেখানেই মুঙ্গেশের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ধীরে ধীরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিভু বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কারণেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে মুঙ্গেশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version