মানিকতলা উপনির্বাচন মামলায় হলফনামা সহ ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য দিন সুপ্রিম কোর্টকে জানাবে নির্বাচন কমিশন। এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ৩ জুন।রাজ্যে ১ জুন শেষ হচ্ছে সপ্তম দফার নির্বাচন। ৪ তারিখ ভোটের ফলাফল। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এবং বরানগরে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, দিন ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভগবানগোলায় উপনির্বাচন তৃতীয় দফায়, সপ্তম দফায় ভোট হবে বরানগরে। কিন্তু, আইনি জটে আটকে মানিকতলার উপনির্বাচন।

২০২২ সালে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে প্রয়াত হন। দেশের ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, যদি কোনও বিধায়কের ইস্তফা বা মৃত্যুর জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হয় তাহলে ৬ মাসের মধ্যে সেখানে উপনির্বাচন করতে হবে। তবে মানিকতলার ক্ষেত্রে তা হয়নি।

কারণ ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপি বেছে নিয়েছিল কল্যাণ চৌবেকে। সেই সময় নির্বাচনে এই কেন্দ্রের ভোট প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে যান এবং ‘ইলেকশন পিটিশন’ দায়ের করেন।

মানিকতলা কেন্দ্র নিয়ে আইনি জট না কাটলে সেখানে উপনির্বাচন সম্ভব নয়। এদিকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন বিধায়কশূন্য হওয়ায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। আর তাই যাতে সেখানে দ্রুত উপনির্বাচন সম্পন্ন হয় সেই জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে দায়ের হয়। আর এর প্রেক্ষিতে কমিশন আদালতে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন প্রসঙ্গও টানে। সেখানে বলা হয়েছিল, যদি ভোট নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি না হয় সেক্ষেত্রে উপনির্বাচন করানো সম্ভব নয়। এরপর সেই জনস্বার্থ মামলাটি অবশ্য খারিজ হয়ে যায়।

এদিকে মানিকতলা নিয়ে মামলার জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কল্যাণের অনীহার জন্য হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি বারংবার পিছিয়ে যাচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। সর্বোচ্চ আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কল্যাণকে। এরপর কল্যাণ তাঁর দায়ের করা ‘ইলেকশন পিটিশন’ তুলে নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত কারণের জন্য তাঁর এই সিদ্ধান্ত বলে আদালতে জানিয়েছিলেন তিনি।

অভিজিতের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ নয়, নির্দেশ হাইকোর্টের, এল কেজরিওয়াল মামলার প্রসঙ্গও

এবার এই মামলার প্রেক্ষিতে হলফনামা সহ ভোচের সম্ভাব্য দিন সর্বোচ্চ আদালতে জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। সেক্ষেত্রে কি মানিকতলায় উপনির্বাচনের জট কাটতে চলেছে? কবে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে ভোট? এই প্রশ্নগুলির জবাব পেতে আপাতত সমস্ত নজর রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতের দিকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version