এদিন আগাগোড়া সৌমিত্রকে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করেন অভিষেক। গত লোকসভা নির্বাচনে হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে এনে বলেন, ‘এই সৌমিত্র খাঁকে ২০১৯ সালে হাইকোর্ট বাঁকুড়ায় ঢুকতে দেয়নি। প্রচার করেছিল সুজাতা। আর সৌমিত্র প্রচার করেছিল শুধু খণ্ডঘোষ বিধানসভায়। যেখানে প্রচার করেছিল ৩০ হাজার ভোটে হেরেছিল। আর এবার বিষ্ণুপুর লোকসভা জুড়ে সব জায়গায় যাচ্ছে আর মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে।’
এবারও সেই খণ্ডঘোষে সৌমিত্রর প্রচার নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘এখানকার বিদায়ী সাংসদ সৌমিত্র খাঁ খণ্ডঘোষে গিয়ে সভা করে বলেছে, তারা ক্ষমতায় এলে নাকি তিন হাজার টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবে। পায়ের নখ থেকে মাথার চুল সব মিথ্যে।’
সঙ্গে জোড়েন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে বাংলার প্রতিটি মা, বোনেদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন, বিজেপি যদি তাদের ক্ষমতাসীন একটি রাজ্যেও প্রতিটি মহিলা, মায়েদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে পারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতি করবে না, ছেড়ে দেবে, আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। ক্ষমতা থাকলে দিয়ে দেখান।’ একটি পরিবারে চার জন মহিলা থাকলে তাঁদের সবাইকে রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছে জানিয়ে অভিষেক বলেন, ‘মোদীজি কী দিয়েছেন? জুমলা, অশ্বডিম্ব।’
অভিষেক বলেন, ‘সৌমিত্র খাঁয়ের উচিত পাঁচ বছরে বিষ্ণুপুরের মানুষের জন্য কী করেছেন তার হিসেব দেওয়া।’ সুজাতাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘চার নম্বর বোতাম টিপে দিল্লিতে ভূমিকম্প করে সুজাতাকে জেতান।’ কেন্দ্র না দিলেও আবাস যোজনার টাকা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের আগে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের আবেদনকারীদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে বলে ‘গ্যারান্টি’ দেন অভিষেক।