চোরাশিকারিদের হাতে বনদফতরের কর্মী খুনের অভিযোগ। শনিবার গভীর রাতে বোট নিয়ে জঙ্গল সংলগ্ন নদীতে টহল দেওয়ার সময় হরিণ শিকারীদের মুখোমুখি হন বনকর্মীরা। তখনই দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অমলেন্দু হালদার নামে বনদফতরের ওই কর্মীর। যদিও তাঁর মাথায় কুড়ুলের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এলাকায় আতঙ্ক।

চোরাশিকারিদের সঙ্গে সংঘর্ষ

বনদফতর ও পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত বনকর্মী অমলেন্দু হালদার দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বোট নিয়ে বের হয়েছিলেন অমলেন্দু বাবু। সঙ্গে ছিলেন আরও তিনজন কর্মী ও বোটের ২ কর্মী। সুন্দরবনের বিদ্যা রেঞ্জ অফিসের অধীনে নেতাধোপানি ক্যাম্প এলাকার জঙ্গলে হরিণ শিকারিরা তাঁদের মুখোমুখি পড়ে যায় বলে খবর। তখন দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলির লড়াই শুরু হয়। যদিও পুলিশ জানাচ্ছে দেহে গুলির চিহ্ন নেই। পরে তাঁকে কোপানো হয় বলেও মনে করা হচ্ছে। কারণ তাঁর মাথায় কুড়ুলের গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

এদিকে বোটে থাকা আরও ৪ কর্মী তখন নদীতে ঝাঁপ দেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে সুন্দরবন কোস্টাল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হচ্ছে। এদিকে এই বিষয়ে এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল জানান, দেহে গুলির চিহ্ন নেই। ধারাল কিছুর আঘাতে মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। গোটা বিষয়টি তজন্ত করে দেখা হচ্ছে।

হাতির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য

এদিকে একটি হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের খয়েরবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বন দফতর সূত্রে খবর, একটি সুপারি বাগানে ঢোকার সময় মুখ থুবড়ে পড়ে হাতিটি। সুপারি বাগানের চারিদিকে লোহার বিদ্যুৎবাহী তার দেখা গিয়েছে। মৃত হাতিটির দেহেও লোহার তার প্যাঁচানো ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মাদারিহাটের রেঞ্জার শুভাশিস রায় এবং জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ দীপনারায়ণ সিনহা। বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে এসেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে হাতিটির দেহের ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে হাতির খবর চাউর হতেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাতিটিকে দেখার জন্য মানুষজন ভিড় করে এলাকায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version