এই সময়: করোনার দাপট প্রায় চলেই গিয়েছে দুনিয়া থেকে। কিন্তু যেটুকু রয়ে গিয়েছে, তার মধ্যে জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্টের দাপটই ছিল চোখে পড়ার মতো। সিঙ্গাপুর, ইউএসএ, ইউকে, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউ জি়ল্যান্ডের মতো বেশ কয়েকটি দেশে জেএন.১-কে সরিয়ে সংক্রমণের বাজার ইদানীং দখল করতে শুরু করে দিয়েছিল ‘ফ্লার্ট’ গোত্রের উপপ্রজাতি। সম্প্রতি সেই সাব-ভ্যারিয়েন্টের দেখা মিলেছে এ দেশেও। এবার দেখা গেল, বাংলাতেও ফ্লার্টের সংক্রমণ হচ্ছে। বস্তুত, দেশের যে ১২টি রাজ্যে ফ্লার্টের অন্যতম কেপি.২ ভ্যারিয়েন্ট মিলেছে, তার মধ্যে মহারাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে বঙ্গ।ফ্লার্ট গোত্রের মধ্যে রয়েছে ওমিক্রনের চারটি মিউটেশন- এফ, এল এবং আর, টি। তাকেই সংক্ষেপে ফ্লার্ট বলা হয়। দু’ধরনের ফ্লার্ট ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। একটি কেপি.২ উপপ্রজাতি এবং অন্যটি কেপি.১.১ সাব-ভ্যারিয়েন্টটি। এর মধ্যে প্রথমটিই ছড়াচ্ছে বেশি। সম্প্রতি কেপি.২ সাব-ভ্যারিয়েন্টের ভারতে আগমনের কথা জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান সার্সকোভ-২ জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (ইনসাকগ)। নভেল করোনাভাইরাস কী ভাবে নিরন্তর মিউটেশনের পর রূপ বদলে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে, তার উপর নজরদারির জন্যই দেশের ৬৭টি জেনেটিক ল্যাব নিয়ে তৈরি হয়েছিল ইনসাকগ। তারা জানিয়েছিল, প্রথমে মহারাষ্ট্র এবং তার পর কর্নাটকে খোঁজ মিলেছে কেপি.২-এর।
রবিবার সেই ইনসাকগ-ই জানিয়েছে, এই তালিকায় শুধু নামই তোলেনি বাংলা। সারা দেশের ২৮৬ জনের মধ্যে এ রাজ্যের অন্তত ৩৬ জন কোভিড আক্রান্ত করোনার এই নয়া উপ-প্রজাতিতে সংক্রমিত। সবচেয়ে বেশি কেপি.২ ধরা পড়েছে মহারাষ্ট্রে (১৪৬)। তার পরেই রয়েছে বাংলা। এ ছাড়া রয়েছে গুজরাট (২৩), রাজস্থান (২১), ওডিশা (১৭), উত্তরাখণ্ড (১৬), গোয়া (১২), উত্তরপ্রদেশ (৮), হরিয়ানা (৩), কর্নাটক (২) এবং দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ (১টি করে)। গত দেড়-দু’ মাসে যে সব নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তা বিশ্লেষণ করেই এই ফল জানা গিয়েছে। ইনসাকগের অধীন কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠানো হয়েছিল এ রাজ্যের নমুনাগুলি।
রবিবার সেই ইনসাকগ-ই জানিয়েছে, এই তালিকায় শুধু নামই তোলেনি বাংলা। সারা দেশের ২৮৬ জনের মধ্যে এ রাজ্যের অন্তত ৩৬ জন কোভিড আক্রান্ত করোনার এই নয়া উপ-প্রজাতিতে সংক্রমিত। সবচেয়ে বেশি কেপি.২ ধরা পড়েছে মহারাষ্ট্রে (১৪৬)। তার পরেই রয়েছে বাংলা। এ ছাড়া রয়েছে গুজরাট (২৩), রাজস্থান (২১), ওডিশা (১৭), উত্তরাখণ্ড (১৬), গোয়া (১২), উত্তরপ্রদেশ (৮), হরিয়ানা (৩), কর্নাটক (২) এবং দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ (১টি করে)। গত দেড়-দু’ মাসে যে সব নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল, তা বিশ্লেষণ করেই এই ফল জানা গিয়েছে। ইনসাকগের অধীন কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠানো হয়েছিল এ রাজ্যের নমুনাগুলি।
তবে নতুন এই প্রজাতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রনের যে উপসর্গ এতদিন দেখা যাচ্ছিল, তার থেকে আলাদা নয় কেপি.২-এর উপসর্গ। গলা খুসখুস, কাশি, ক্লান্তি, নাক দিয়ে কাঁচা জল, মাথা ও মাংসপেশিতে ব্যথা, জ্বর অথবা জ্বর জ্বর ভাব এবং শীত লাগা। তবে কোনও উপসর্গই মারাত্মক নয়। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায় জানাচ্ছেন, ফ্লার্টও আদতে ওমিক্রনেরই একটি তুতো-ভাই। তাই চিন্তার কিছু নেই। প্রকৃতিতে ভাইরাস ক্রমাগত মিউটেশন করতে থাকে। এটাই স্বাভাবিক। আগামী দিনেও এ রকম নতুন নতুন রূপ মাঝে মাঝেই আরও দেখতে পাওয়া যাবে।