একে অসহনীয় গরম তার উপর স্কুলে ছুটি। ফলে পাহাড়ে গিয়ে ঠান্ডায় একটু জিরিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গ পৌঁছে তার পর দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং কিংবা সিকিম- কোনও একটি শৈলশহরে পৌঁছে গেলেই হলো। কিন্তু উঠল বাই তো কটক যাই বললেই হয় না। তার জন্য সবার আগে দরকার ট্রেনের সংরক্ষিত আসনের টিকিট। শেষ মুহূর্তে সেই টিকিট মেলার সুযোগ কার্যত নেই। ফলে ভরসা একমাত্র বাস। হঠাৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে বেসরকারি ভলভো বাস অপারেটররা টিকিটের দাম আকাশছোঁয়া করে দিয়েছে। ভলভো সিটারের ভাড়া ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকা। আর স্লিপারের ভাড়া ২৭০০-৩০০০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের পকেট ফ্রেন্ডলি সার্ভিস দিচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এসবিএসটিসি)।দুর্গাপুর থেকে শিলিগুড়ি এসবিএসটিসির এসি লাক্সারি বাসের ভাড়া মাত্র ৮১০ টাকা। নন এসি বাসের ভাড়া ৪৫৫ টাকা। রবিবার সকালে সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডে সংস্থার কাউন্টারে খোঁজ করতে উত্তর এল কোনও টিকিট নেই। এসি, নন এসি, দুই ধরনের বাসেরই সব টিকিট শেষ।

শুধু দুর্গাপুর নয়, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি রুটেও এসবিএসটিসির ভাড়া বেসরকারি পরিবহণ সংস্থাগুলোর তুলনায় অনেক কম। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি এসবিএসটিসির ভলভো সিটারের ভাড়া ১২১০ টাকা। নন এসি বাসের ভাড়া ৪৫৫ টাকা।

দুর্গাপুরে এসবিএসটিসি-র এক কর্মী জানাচ্ছেন, নন এসি বাসগুলোয় আরামদায়ক সিট ও ফ্যান থাকছে। ফলে গরমেও জার্নি করতে অসুবিধা হবে না। কাউন্টার ছাড়াও অনলাইনে কাটা যাবে টিকিট।

স্টিল টাউনশিপের বাসিন্দা সঞ্জীব অধিকারী গরমের ছুটি কাটাতে সপরিবার দার্জিলিং বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। হোটেল বুকিং হয়ে গিয়েছে। সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডে এসে বেসরকারি সংস্থার ভলভোর টিকিটের দাম শুনে আঁতকে ওঠেছেন তিনি। তাঁর অবশ্য এসবিএসটিসির এসি বাসের টিকিট কাটা। বলেন, ‘আমাদের তিন জনের এসবিএসটিসির এসি বাসের টিকিটের ভাড়া ২৪৩০ টাকা। সেখানে ভলভো বাসে টিকিটের দাম বলেছিল ৬ হাজার ৬০০ টাকা।’ সঞ্জীব একা নন, অনেকেই ভলভো বাসের টিকিটের দাম শুনে বিস্মিত। বেনাচিতির বাসিন্দা অশোক দত্ত বলেন, ‘ট্রেনে এসি টু টিয়ারের থেকেও বেশি ভাড়া চাইছে ভলভো স্লিপার। সরকারি বাসের ভাড়া সেখানে অনেক কম।’

দুর্গাপুর থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০টি বাস শিলিগুড়ি যাতায়াত করে। অধিকাংশই ভলভো। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলছেন, ‘গরমে একটু স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে চান অনেকে। এই সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন ভলভো অপারেটররা। আমরা যাত্রীদের পকেটের কথা মাথায় রেখে শিলিগুড়ি রুটের ভাড়া ঠিক করেছি। আমাদের সংস্থার বাস সময়ে গন্তব্যে পৌঁছয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version