মুখ খোলেন কয়েকদিন আগেও
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেও এই বিষয়ে সরব হন তৃণমূল নেত্রী। কয়েকদিন আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এক সভায় অংশ নিয়ে মমতা বলেন, ‘রোজ বলছে তৃণমূল চুরি করেছে, কোথায় চুরি করেছে? কার পকেটে চুরি করেছে? চুরি করেছে তার প্রমাণ কোথায়? আমি মানহানির মামলা নিয়ে আদালতে যাচ্ছি। রোজ উলটোপালটা বলা! এবার আমি নিজে মামলা করছি। আমি আর ছাড়ার পাত্রী নই, ভালো করে ধরব।’ আর এদিন খড়দার সভা থেকে এই বিষয়ে আরও বড় মন্তব্য করলেন তিনি।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরব
এছাড়াও খড়দার সভা থেকে ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের প্রেক্ষিতেও মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়। আদালতের রায় তাঁরা মানবেন না বলেও সাফ জানিয়েদেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কাউকে দিয়ে একটা অর্ডার করিয়েছে, যদিও তাঁর রায় আমি মানি না। ২৬ হাজার শিক্ষককে যখন বাতিল করা হয়, তখনও আমি বলেছিলাম ওদের রায় আমরা মানি না। তেমনই আজকে বলছি, রায় যে দিয়েছেন, যেই দিয়ে থাকুন, নাম বলব না, জাজমেন্ট নিয়ে বলা যায়, এটা বিজেপির রায়, আমরা মানব না। ওবিসি রিজার্ভেশন চলছে চলবে।’ এক্ষেত্রে প্রয়োজনে উচ্চতর আদালতে যেতে হলে তাও যাবেন বলে জানান মমতা।
এদিনের সভা থেকে সৌগত রায়কে ভোট দেওয়ার জন্য উপস্থিত জনতার কাছে আবেদন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে সংসদে সৌগত রায়ের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসাও করেন তিনি। এদিন ছাত্র রাজনীতির স্মৃতিরোমন্থনও করতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে।