আর কয়েকদিন পরেই ষষ্ঠ দফার ভোট। আর তার আগেই বাসে এক যুবকের ব্যাগ থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধারের অভিযোগ। পুলিশের নাকা চেকিংয়ে ধরা পড়েন ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের খেজুরি থানা এলাকার। পুলিশ সূত্র খবর, মোটা সাড়ে ৭ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ১০ হাজার টাকা করে বিভিন্ন খামে রাখা হয়েছিল টাকাগুলি। এছাড়াও ওই যুবকের কাছ থেকে বিজেপির পতাকা, পোলিং এজেন্টের ফর্ম সহ কাগজপত্রও উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ইন্দ্রজিৎ দাস নামের ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। যদিও আটক ব্যক্তির দাবি, তিনি তাঁর এক দাদার ব্যবসার টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে অত টাকা বিভিন্ন খামের মধ্যে ১০ করে কেন রাখা হয়েছিল, তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।জানা গিয়েছে, বুধবার নাকা চেকিং চলছিল পুলিশের। বিভিন্ন গাড়িতেও তল্লাশি চালান হচ্ছিল। সেই সময়ই একটি বাসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ইন্দ্রজিৎ দাসের কাছ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই বিষয়ে পুলিশের দাবি, বিজেপি পার্টি অফিস থেকে ওই টাকা হেঁড়িয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এক্ষেত্রে পুলিশ মনে করছে, ওই ব্যক্তি কাঁথির বিজেপি পার্টি অফিস থেকে টাকার প্যাকেট নিয়ে খেজুরির বিভিন্ন বুথ সভাপতি এবং দলীয় কর্মীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেক্ষেত্রে ভোটের আগে এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

কয়েকদিন আগে খড়গপুরে এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ৩৫ লাখেরও বেশি টাকা। জেলা পুলিশ এলাকার একটি হোটেলে হঠাৎই তল্লাশি চালায়। সেই সময় সেখানেই ছিলেন ওই বিজেপি নেতা। তাঁর কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকারও বেশি উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এমনকী একসঙ্গে এত টাকা কেন কাছে রেখেছিলেন, তার কোনও সঠিক উত্তরও তিনি দিতে পারেননি বলে জানা যায়।

তারও আগে গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে মালদায় এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। পুলিশের নাকা চেকিং করার সময় সেই অর্থ উদ্ধার করা হয়। সেই বিজেপি নেতাকে আটকও করেছিল পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড। তারপর মে মাসের শুরুতেই ওই জেলারই রতুয়ায় এক বিজেপি নেতার কাছ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবার টাকা উদ্ধার পূর্ব মেদিনীপুরে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version