সবুজ একটি ট্রলি ব্যাগে করে নিউ টাউনের আবাসন থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের নিখোঁজ সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাংশ? প্রকাশ্যে আসা CCTV ফুজেট ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। পাশাপাশি টুকরো করা দেহাংশগুলি কোথায় ফেলা হয়েছে? তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।নিউ টাউনের অভিজান আবাসনের ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাম দিকের একটি ঘর থেকে ট্রলি নিয়ে বার হচ্ছেন এক অভিযুক্ত। ঘটনায় ঠিক কী ভূমিকা পালন করেছিল কসাই জাহিদ হাওলাদার, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাংসদ খুনের ঘটনায় সিআইডি গ্রেফতার করেছে তাকে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, পেশায় কসাই এই ব্যক্তির সাহায্যেই আনোয়ারুলের দেহ টুকরো টুকরো কেটে কেটে ফেলা হয় এবং তা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

কোথায় ফেলা হয়েছে দেহের সেই টুকরো? তা জানার জন্য চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। বাগজোলা খালে তল্লাশি চালানো হয়। এদিন তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে হাওলাদারকেও। তাকে নিয়ে খালপাড়ে তল্লাশি চালায় CID-র একটি টিম। কোন জায়গায় প্যাকেট ফেলেছিল সে? তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সে সঠিকভাবে বলতে পারছে না যে প্যাকেটটি কোথায় ফেলেছে।

জিরানগাছা ও কৃষ্ণ মাটি ব্রিজের মাঝে বাগজোলা খালের জলে নামার জন্য তৈরি করা হচ্ছে বিপর্যয় মোবাবিলা বাহিনীর কর্মীদের। অন্যদিকে, আবাসনের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আমানোল্লাকে। ইতিমধ্য়েই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়াও ফুটেজে ধরা পড়েছে হাওলাদারকেও।

তাকে শুক্রবার বারাসত আদালতে তোলা হলে ১২ দিনের সিআইডি হেফাজত দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১, ১২০বি ও ৩৬৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী শান্তময় বসু জানান, অভিযুক্ত কে নিয়ে এই খুনের তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে সিআইডি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, দেহ থেকে ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল। তারপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়।

Bangladesh MP Murder Case: মুম্বই থেকে কসাই এনে টুকরো টুকরো করা হয় দেহ? বাংলাদেশের সাংসদ খুনে CID-র জালে ১

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের সাংসদ কলকাতায় এসেছিলেন। ১৩ তারিখ তিনি কয়েকদিন পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তাঁকে কোনওভাবে ‘হানি ট্র্যাপ’ করা হচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version