অগ্নিমিত্রা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক। সেখানকার সঙ্গে মেদিনীপুরের নানা মিল রয়েছে। খড়্গপুরের রেল কলোনিতে নানা ভাষা, নানা মতের মানুষের বসবাস যেন মনে করিয়ে দেয় আসানসোলের কথা। ফলে প্রচারে চেনা সমীকরণগুলিই ঝালিয়ে নিচ্ছেন অগ্নিমিত্রা। আসানসোলের বিজেপি কর্মীরা তাঁকে যে ভাবে ‘দিদিভাই’ বলে ডাকেন, সে ভাবেই ‘দিদিভাই’ শব্দটা তিনি চাউর করে দিয়েছেন মেদিনীপুরে। প্রচারে কোনও খামতি রাখছেন না। দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তথাকথিত ‘উপদ্রুত’ এলাকাতেও। দাপুটে স্বভাবের অগ্নিমিত্রা কর্মীদের কাছে নিজেকে আগমার্কা নেত্রী হিসেবে তুলে ধরতে কোনও কসুর বাকি রাখছেন না।
এলাকায় সমস্যা অনেক। বিশেষ করে রেল কলোনিগুলিতে এখনও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছয়নি, জল সুব্যবস্থা হয়নি। দিলীপ ঘোষ ২০১৯ সালে সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখতে পারেননি। কিন্তু অগ্নিমিত্রা বলছেন, ‘প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান করব।’
বার বার দলের নিচুতলা থেকে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বোঝাচ্ছেন, তাঁকে ২০২১ সালে বিধানসভায় টিকিট দিয়েছিলেন ‘দিলীপদা’ই। তাঁর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ‘সুসম্পর্ক’কে মূলধন করে সাবধানে পা ফেলছেন অগ্নিমিত্রা।