এই সময়: বিরোধীরা তো পরে। দলের অন্দরে কোন্দলের কাঁটাই শেষে বিঁধবে না তো? দিলীপ ঘোষের মতো হাই-প্রোফাইল প্রার্থীকে সরিয়ে ফ্যাশন ডিজ়াইনার অগ্নিমিত্রা পলকে মেদিনীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর তাতেই দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ এমন জায়গায় যে, নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনা, অবিশ্বাসের বাতাবরণ- স্টারডম ঝেড়ে রাজনীতির ময়দানের ধুলোবালি মেখে অগ্নিমিত্রা যে ঝোড়ো প্রচার করছেন, তার ফাঁকে ফাঁকেই উঠছে নানা কথাবার্তা।২০১৯-এ মেদিনীপুর কেন্দ্রের সাতটি বিধানসভার ছ’টিতে লিড নিয়ে জিতেছিলেন দিলীপ। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ফলাফল হয় ঠিক উল্টো। ফলে এখানে কোন দিকে জল গড়াবে, আঁচ করা কঠিন।

অগ্নিমিত্রা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক। সেখানকার সঙ্গে মেদিনীপুরের নানা মিল রয়েছে। খড়্গপুরের রেল কলোনিতে নানা ভাষা, নানা মতের মানুষের বসবাস যেন মনে করিয়ে দেয় আসানসোলের কথা। ফলে প্রচারে চেনা সমীকরণগুলিই ঝালিয়ে নিচ্ছেন অগ্নিমিত্রা। আসানসোলের বিজেপি কর্মীরা তাঁকে যে ভাবে ‘দিদিভাই’ বলে ডাকেন, সে ভাবেই ‘দিদিভাই’ শব্দটা তিনি চাউর করে দিয়েছেন মেদিনীপুরে। প্রচারে কোনও খামতি রাখছেন না। দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তথাকথিত ‘উপদ্রুত’ এলাকাতেও। দাপুটে স্বভাবের অগ্নিমিত্রা কর্মীদের কাছে নিজেকে আগমার্কা নেত্রী হিসেবে তুলে ধরতে কোনও কসুর বাকি রাখছেন না।

দিলীপ ছোঁয়াচ এড়িয়ে বাজিমাতের চেষ্টায় অগ্নিমিত্রা, বিধানসভার ফল ও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অ্যাডভান্টেজ জুন?

এলাকায় সমস্যা অনেক। বিশেষ করে রেল কলোনিগুলিতে এখনও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছয়নি, জল সুব্যবস্থা হয়নি। দিলীপ ঘোষ ২০১৯ সালে সমস্যার সমাধানে প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখতে পারেননি। কিন্তু অগ্নিমিত্রা বলছেন, ‘প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান করব।’

বার বার দলের নিচুতলা থেকে সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের বোঝাচ্ছেন, তাঁকে ২০২১ সালে বিধানসভায় টিকিট দিয়েছিলেন ‘দিলীপদা’ই। তাঁর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের ‘সুসম্পর্ক’কে মূলধন করে সাবধানে পা ফেলছেন অগ্নিমিত্রা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version