ঘাটালের দশ বছরের সাংসদ তারকা, সুপারস্টার তা নিয়ে সংশয় নেই। কিন্তু বিরোধীরা, বিশেষ করে বিজেপি প্রচার করছে, এই দশ বছরে তিনি ঘাটালে আসেননি, কাজ করেননি। বন্যা থেকে মানুষকে বাঁচাতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানও বাস্তবায়িত করতে পারেননি। কিন্তু দেবের ভক্তদের দাবি, তারকা হয়েও তিনি আসলে মাটির মানুষ।
অনুষ্ঠান হোক বা বিপদ- দেবকে দেখা গিয়েছে। আর মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে দেব তো নিজেই বলছেন, ‘আমাকে মুখ্যমন্ত্রী আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছেন এবার রাজ্যের অর্থেই ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান হবে। আমাদের আর কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হবে না।’
ঘাটাল তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। এই কেন্দ্রের মধ্যেই আছে কেশপুর। এক সময়ের লাল দুর্গ কেশপুরে এখন তৃণমূলেরই রাজত্ব। কিন্তু ইদানিং সেখানকার বেশ কিছু সমীকরণ চাপে রাখছে শাসকদলকে। ভোট ভাগাভাগি হওয়ার গুঞ্জনও রাজনৈতিক আবহে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু দেবের সভা দেখলে তার আন্দাজ করার উপায় নেই। যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই পাগলপারা ভিড়। দেব মানুষকে শেখাচ্ছেন সৌজন্যের পাঠ আর শান্তিপূর্ণ থাকা মন্ত্র।
কারণ তাঁর মতে, ‘নেতারা ভোটের পর চলে যাবে। আপনি আর আপনার প্রতিবেশীরাই পাশাপাশি থাকবেন। সুখ-দুঃখের সঙ্গী হবেন। তাই ভোটের জন্য এত মারদাঙ্গা করার দরকার নেই। আপনার যাঁকে পছন্দ, তাঁকে ভোট দিন।’ তবে বিরোধীদের বক্তব্য, দেব যতই উদারতা দেখান, ভোটের দিন তাঁরই দল মানুষকে ভোটদানে বাধা দেয়। দেব অভিযোগ উড়িয়েও দেন না, আবার স্বীকারও করেন না। শুধু বলেন, ‘আমি এই রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই।’