এই সময়: নিজের দল সম্পর্কে তিনি সামান্য বেসুরো হলেই তাঁর দলবদল নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে যায়। গত এক দশকে তেমন পরিস্থিতি তৈরিও হয়েছে। তারই মধ্যে দল পাল্টে জোড়াফুল থেকে পদ্মে ভিড়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীও হয়ে গিয়েছেন। আবার বিজেপির এমপি হওয়া সত্ত্বেও দলে তাঁর পদ চলে যায়।তাতে এমন সব মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন যে, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন তাঁর ফের দলবদল শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু সেবার আর দল বদলাননি সৌমিত্র খাঁ। পাঁচ বছর ধরে বিজেপিতে কাটিয়ে আরও একবার পুরোনো কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। তবে কাহানি মে ট্যুইস্ট। তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষের নাম সুজাতা মণ্ডল- তাঁরই প্রাক্তন স্ত্রী।

বাঁকুড়ার দুর্লভপুরের খাঁ পরিবারের সৌমিত্রর রাজনীতিতে হাতেখড়ি কংগ্রেসের হাত ধরে। ২০১১ সালে তিনি কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে জয়ী হন। সে বার তৃণমূলের সঙ্গে জোট ছিল কংগ্রেসের। কিন্তু বছরদুয়েক কাটতে না কাটতেই মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে তৃণমূলে যোগদান। সেটা ২০১৩। পরের বছর বিষ্ণুপুরে জোড়া ফুল প্রতীকে এমপি।

Lok Sabha Election : বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে তৃণমূলের বাজি খণ্ডঘোষ আর গলসি

কিন্তু ২০১৮-য় অর্থের বিনিময়ে চাকরির অভিযোগে স্থানীয় পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। দলত্যাহ করে বিজেপিতে গিয়েই ২০১৯-এ টিকিট। তবে আদালতের নির্দেশে সেই ভোটে নিজের কেন্দ্রে ঢুকতেই পারেননি তিনি। প্রচার থেকে শুরু করে ভোটে লড়ার যাবতীয় ঝক্কি সামলেছিলেন তাঁর তৎকালীন স্ত্রী সুজাতা। নিজে প্রচারে না থেকেও তিনি ৭৮ হাজারের বেশি ভোটে জিতে যান।

যাবতীয় কৃতিত্ব তিনি দিয়েছিলেন সুজাতাকে। কিন্তু তারপরে সব পাল্টে যায়। বিস্তর টানাপড়েনের পরে বিবাহ-বিচ্ছেদ। এবারের লড়াই কঠিন? সৌমিত্র বলছেন, ‘এটা আরও একটা ভোট। এর বেশি কিছু নয়। বিপক্ষে কে, ভোটারদের তাতে কিছু যায় আসে না- জয় নিশ্চিত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version