সকাল সকাল তমলুকের নিমতৌড়ি ভাড়া বাড়ি থেকে ছাতু, রুটি ও চা খেয়ে বেরিয়ে যান। দিনের শুরুতেই তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দেন। পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথমেই বলেন, ‘সন্ত্রাস মুক্ত ভোট হোক। তাহলেই জয় নিশ্চিত।’ এরপর তমলুকের বিভিন্ন বুথে শুরু করেন পরিদর্শন। ভোট পরিচালনার কর্মরত নেতা কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। এর মাঝেই ঘণ্টায় ঘণ্টায় চলে চা পান। একটু বেলা বাড়তেই রওনা দেন কোলাঘাটে। সেখানে বিভিন্ন বুথে ঘুরে, দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে বুঝে নেন, ‘ভোট কেমন চলছে?’
কোলাঘাটের পর নন্দকুমার হয়ে হলদিয়ায় যান দেবাংশু। হলদিয়ার বেশ কিছু বুথে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গিয়ে তৃণমূল এজেন্টদের বের করে দেয় বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই বুথে গিয়ে এলাকার মানুষ, দলের কর্মী নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন দেবাংশু। এজেন্টদের বসানোর ব্যবস্থা করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘হলদিয়া বেশ কয়েকটি বুথে প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এজেন্টদের সরিয়ে দেয়৷ তার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছি নির্বাচন কমিশনকে।’
হলদিয়ার বিভিন্ন বুথে ঘুরে তিনটে নাগাদ তমলুকের নিমতৌড়িতে নিজের ভাড়া বাড়িতে দুপুরের আহারের জন্য চলে আসেন। সেখানেই আহার করছেন। এরপরেও তমলুক কেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় পরিদর্শন করেন তিনি। তবে, অশান্ত নন্দীগ্রামে এদিন সেভাবে পরিভ্রমণ করতে দেখা যায়নি দেবাংশুকে। যদিও, নন্দীগ্রামের বুথগুলিতে ভালো ফলের আশা করেছেন দেবাংশু। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি যদি ওখানে ভয় না পেতো, তাহলে গত দু’দিন ধরে সোনাচূড়ায় এই অশান্তিটা করল কেন? ..বিজেপি এগুলো করে প্রমাণ করে দিয়েছে, তাঁদের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে।’ বিজেপি প্রার্থীর মুখের অবয়ব দেখেই বোঝা গিয়েছে, তমলুকের মানুষ ‘শেষ বিচার’ করে দিয়েছেন, ভোটপর্বের শেষে বার্তা তরুণ নেতার।