মমতার আক্রমণের মুখে এদিন সুজন বলেন, ‘২০০৯ থেকে প্রতি ভোটে যাদবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী বদল হয় কেন? তৃণমূলের জমিদারি ভাঙছে বুঝেই উনি আতঙ্কে ভুগছেন। যাঁদের দূরবীন দিয়ে দেখতে পেতেন না, তাঁদের এখন সব জায়গায় দেখতে পাচ্ছেন!’ যাদবপুরে সিপিএমের ছাত্র নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করে এবার বামেরা চাইছে জমি ফেরাতে, অন্যদিকে সায়নী জোড়াফুলের গড় ধরে রাখতে টানা প্রচার চালাচ্ছেন।
সায়নী টালিগঞ্জের অভিনেত্রী হলেও মিমির তুলনায় রাজনীতির ময়দানে এসে তিনি অনেক বেশি সক্রিয় থেকেছেন বলে তৃণমূল নেতাদের পর্যবেক্ষণ। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সায়নী প্রথম লড়াই করেন। ভোটে পরাজিত হলেও কয়েক মাস পরে তিনি যুব তৃণমূলের সভানেত্রী হন। গত তিন বছরে সায়নী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও ত্রিপুরায় তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন।
মমতার কথায়, ‘মিমি খুব ভালো মেয়ে, খুব ভালো অভিনেত্রী। কিন্তু সত্যিই ও অভিনয়ে খুব ব্যস্ত থাকে। তা সত্ত্বেও ওকে যখন যা বলেছি ও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে।’ মমতার সংযোজন, ‘আমি ওকে ফোন করে বলেছিলাম, মিমি এবার তুমি অন্য কোনও জায়গা থেকে দাঁড়াবে? আমি কিন্তু ওকে না করিনি। ও ভালো মেয়ে, ভালো থাকুক।’
সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের সভায় মমতা বলেন, ‘আগের বারে আপনারা অতটা সার্ভিস পাননি। ওর (মিমি) অবশ্য কোনও দোষ ছিল না। এটা আমাদেরই দোষ। সেই কারণে শুধরে নেওয়ার জন্য সায়নীকে প্রার্থী করা হয়েছে।’ তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, বিজেপির পরোক্ষ মদতেই সিপিএমের গলার জোর বেড়েছে। মমতার কথায়, ‘সিপিএম একটু একটু করে বাড়ছে বলা হচ্ছে? বাড়ছে কী করে? বিজেপির দয়ায়।
আমরা যখন ছিলাম না, চিটফান্ড এল। ওই সুজন চক্রবর্তীরা সারদাকে নিয়ে এল। বারুইপুরে নিয়ে গিয়ে প্রোগ্রাম করল। যত চিটফান্ড হয়েছে সিপিএমের আমলে আর অ্যারেস্ট হলাম কারা? আমরা, গাধাগুলো। কারণ, মোদীর রাগ সিপিএমের উপরে নয়, মমতার উপরে।’ মমতার তোপের মুখে সুজন বলেন, ‘কুণাল ঘোষকে কে গ্রেপ্তার করেছিল? রাজীব কুমারকে (বিধাননগরের প্রাক্তন সিপি) দিয়ে উনি তো সিট তৈরি করেছিলেন। তাঁরা আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারল না কেন?’
সোনারপুরে তৃণমূলের একাংশের কাজকর্ম নিয়ে তিনি যে অসন্তুষ্ট, সেটা জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি লক্ষ্য রাখি, সোনারপুরে কাজ হচ্ছে কি না। দু’-একজন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে আমার কাছে কমপ্লেন আছে। আমি তাঁদের বলছি, হয় নিজেদের শুধরে নাও, না হলে আমি শুধরে দেবো।’