এই সময়: সন্দেশখালি নিয়ে যখন উত্তাল গোটা রাজ্য, তখন স্থানীয়দের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। ১৭ দিন জেলও খাটতে হয় নিরাপদ সর্দারকে। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পান। এরপর সন্দেশখালির বাম ‘মুখ’ নিরাপদ সর্দারের উপরই ভরসা রেখেছে বামফ্রন্ট। এর আগে ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত, রেণু চক্রবর্তী, মনোরঞ্জন শূরের মতো প্রবাদপ্রতিম সাংসদ জিতেছেন বসিরহাট থেকে।এই আসনটি বরাবর বামেদের শরিক সিপিআইয়ের জন্যেই বরাদ্দ থাকে। এ বারই প্রথম এই আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। সিপিআইয়ের কাছে এ বার আসনটি ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। শরিক দল তা মেনে নেয়।

৫৪ বছরের নিরাপদ সর্দার পার্টির হোলটাইমার। খেতমজুর আন্দোলন থেকে উঠে এসেছেন। সিপিএমের সারা ভারত কৃষক ও খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক তিনি। নিরাপদ আদিবাসী অধিকার রক্ষা মঞ্চের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও। ১৯৯৮ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সন্দেশখালি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন।

২০১১ সালে পরিবর্তনের ঝোড়ো হাওয়াতেও সন্দেশখালিতে লাল পতাকা উড়িয়ে বিধায়ক হন তিনি। এ বার ভোটে প্রচারের শুরু থেকেই বাম কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে লাগাতার পথসভা-জনসভা করছেন নিরাপদ। সদা হাস্যময় এই সিপিএম নেতা বসিরহাটে জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। তাঁর যুক্তি, রাজ্য ও কেন্দ্রের অপশাসনের বিরুদ্ধে বসিরহাটের মানুষ আবার বামেদের ফিরিয়ে আনতে চাইছেন।

তিন লাখ মার্জিনে হারবেন রেখা! শাহজাহান-বাণীতে তুঙ্গে বিতর্ক

সন্দেশখালির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘গঙ্গাধর কয়ালকে দিয়ে যা বলানো হচ্ছে তা আসলে ভোটারদের মাইন্ড চেঞ্জ করার একটা নতুন কৌশল বলে আমার মনে হয়।’ যখন সন্দেশখালির মহিলারা প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন, নিরাপদ গোড়া থেকেই তাঁর মতো করে গ্রামবাসীদের পাশে ছিলেন। পুলিশ নিরাপদকে গ্রেপ্তার করে। জেল থেকে বেরোলে তাঁকে নিয়ে বড় মিছিল করেছিল বামেরা।

সেই নিরাপদই মনে করেন বিজেপি ঢুকে পড়ে আন্দোলনের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘সন্দেশখালির বাসিন্দারা তাঁদের অস্তিত্বরক্ষার জন্য যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল, তা ভাঙলেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে রাজনীতিতে রূপ দিল বিজেপি। আর তৃণমূল দেখছে এই সুযোগে যদি একটু অক্সিজেন পেতে পারি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version