ছবি সৌজন্যে বিসিসিএল
তিনকন্যা, খেলা হবে..
ভোটের জনপ্রিয় স্লোগান ‘খেলা হবে’। লোকসভা ভোটেরও তা ট্রেন্ডিং। কসবা থেকে ভবানীপুর। রাসবিহারী থেকে বালিগঞ্জ-বন্দর। ‘খেলা হবে’ স্লোগানের বিরাম নেই। খেলা হবে গানও হিট। তৃণমূল সমর্থকের কথায়, এ বার দক্ষিণ কলকাতায় ‘খেলায়’ তিন জনই কিন্তু মহিলা প্রার্থী। মালা রায়ের সমর্থনে মমতার বেহালায় জনসভা এবং কলকাতায় রোড-শো বাড়তি অক্সিজেনও জুগিয়েছে দলকে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯-এর নির্বাচনে দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জিতে ছিলেন মালা। আবার ২০২১-এ বিধানসভা ভোটের নিরিখে লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ভালো ফল করে এগিয়ে গিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ওই কেন্দ্রে ২৭ শতাংশের আশপাশে সংখ্যালঘু ভোটার রয়েছেন। মমতাও বেশ কয়েকবার জিতেছেন এখান থেকে। তবে, মালাকে টক্কর দিতে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ভোটবাক্সে ‘রক্তক্ষরণ’ বন্ধ করা সায়রা শাহ হালিমকে প্রার্থী করেছে সিপিএম।
ওই কেন্দ্রে বিজেপিকে ‘হারিয়ে’ সায়রা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল। অন্যদিকে, গতবারের রায়গঞ্জের জয়ী প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীও লড়ছেন। বিজেপির আশা, গত লোকসভা নির্বাচনে ২৬টি ওয়ার্ডে খারাপ ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই খেলা একতরফা মোটেই হবে না। যদিও মালা মনে করছেন, দৌড়ে তিনিই প্রথম হবেন। দ্বিতীয় কে হতে চান, সেটা ওদের চিন্তা!
ফুলে ‘কাঁটা’.. নেই
পোস্টার-ব্যানারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়র সঙ্গে মালা রায়ের ছবি ভরে গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার পথে-ঘাটে। উন্নয়ন এবং সরকারি প্রকল্পের ‘ফুলের ডালি’তে ‘কাঁটা’ হয়ে রয়েছে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির ইস্যু। সৌজন্যে বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাতে দোসর কালীঘাটের ‘কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও। বিরোধীরা প্রচারের সেই অস্ত্র প্রয়োগ করতে কোনও খামতি রাখছেন না। ভোটের মুখে আবার গার্ডেনরিচে বেআইনি বহুতল বিপর্যয় কিছুটা হলেও বেকায়দায় ফেলেছে কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রকে।
যদিও রাসবিহারী, কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, বেহালা পশ্চিম, বেহালা পূর্ব, কসবা, বালিগঞ্জ বিধানসভার সবেই তৃণমূলের বিধায়ক। মালার বক্তব্য, ‘ব্যক্তিগত ভাবে কেউ দুর্নীতি করে থাকলে, দল তাঁদের পাশে নেই। গার্ডেনরিচের ঘটনার পর বেআইনি নির্মাণের ক্ষেত্রে আরও কঠোর হয়েছে কলকাতা পুরসভা। উন্নয়নের কাছে ভোটে এগুলি ইস্যুই নয়। তাই জোড়া ফুলে কোনও কাঁটাও নেই।’