রাত পোহলেই সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন। এই দফায় রাজ্যে মোট ৯টি কেন্দ্রে হতে চলেছে নির্বাচন। শেষ দফাতেই ভোট রয়েছে কলকাতাতেও। শহরের ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করাতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। ভোটে কলকাতা পুলিশের আওতায় রয়েছে মোট ৫১৫৮টি বুথ। লালবাজার সূত্রে খবর, ৫ থেকে ৮টি করে বুথ নিয়ে তৈরি হয়েছে ১টি করে সেক্টর। ৩ থেকে ৪টি সেক্টর নিয়ে গঠিত হয়েছে ১টি করে QRT। কলকাতা পুলিশের আওতায় প্রতিটি থানায় থাকবে ৩টি করে আরটি মোবাইল ভ্যান ও একটি করে হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড (HRFS)। সেক্ষেত্রে কলকাতা পুলিশের আওতায় মোট সেক্টরের সংখ্যা ৩৪৭, আরটি মোবাইল ভ্যানের সংখ্যা ২৪০ ও এইচআরএফএস থাকছে ৮০টি। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে থাকবে ৩টি করে স্ট্যাটিক সার্ভিলেন্স টিম (SST) ও ৩টি করে ফ্লাইং স্কোয়াড টিম (FST)।লালবাজর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্পেশ্যাল কুইক রেসপন্স টিমও থাকছে। তারা উঁচু আবাসন ও ভিড়প্রবণ এলাকাগুলিতে নজরদারি চালাবে। রাতের শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ৭২টি নাইট পেট্রোলিং গাড়ি। ৯টি ডিভিশনের প্রতিটিতে ৭টি করে নাইট পেট্রোলিং গাড়ি দেওয়া হয়েছে। ভাঙড় ডিভিশনে থাকছে ৯টি নাইট পেট্রোলিং গাড়ি। রাত ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ৬টা পর্যন্ত টহল দেবে সেগুলি। প্রতিটি QRT-তে থাকবেন ৮ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান এবং একজন করে কলকাতা পুলিশের আধিকারিক। ভোটের দিন কোনও বুথ থেকে অভিযোগ এলে তৎক্ষণাৎ সেখানে পৌঁছবে কলকাতা পুলিশের দল। ঘটনাস্থলের ছবি এবং ভিডিওগ্রাফি করা হবে। সেগুলি পাঠান হবে লালবাজারের নির্বাচন সেলে। পরে সেই সব তথ্য পৌঁছে যাবে নির্বাচন কমিশনের দফতরে। পুলিশকে প্রতিটি অভিযোগের রিপোর্ট লালবাজারে জানাতে হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোটের দিন অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে এমন ৫৭৫ জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ভোটেই প্রথমবার রাতের পেট্রোলিংয়ে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় মোট ৪৫টি নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। প্রতিটি নাকা তল্লাশির জায়গায় থাকছে হাফ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভোটের দিন অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে এমন ৫৭৫ জনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ভোটেই প্রথমবার রাতের পেট্রোলিংয়ে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় মোট ৪৫টি নাকা চেকিং পয়েন্ট করা হয়েছে। প্রতিটি নাকা তল্লাশির জায়গায় থাকছে হাফ সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এদিকে ইতিমধ্যেই শহরের প্রতিটি হোটেলে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। লালবাজারের নির্দেশ, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত এমন কোনও বাইরের লোক যেন হোটেলে না থাকে। শনিবার সকাল থেকে লালবাজারের কন্ট্রোলরুম থেকে প্রতি মুহূর্তের সিসিটিভি ফুটেজ মনিটর করা হবে। এই প্রসঙ্গে, লালবাজারের এক শীর্ষ কর্তা জানান, নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট করাতে বদ্ধপরিকর কলকাতা পুলিশ।