বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে ৭টি বিধানসভা। প্রতিটি বিধানসভার জন্য দু’টি করে ঘরে ইভিএমের ভোটগণনা হবে। প্রতিটি ঘরে থাকবে ১০টি টেবিল। প্রতিটি বিধানসভার গণনার জন্য দু’জন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার (এআরও) থাকবে। এই লোকসভার রায়না বিধানসভায় ১৫, জামালপুরে ১৩, কালনায় ১৪, মেমারিতে ১৫, পূর্বস্থলী দক্ষিণে ১৪, পূর্বস্থলী উত্তরে ১৪ ও কাটোয়া বিধানসভায় ১৬ রাউন্ড গণনা হবে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের ৭টি বিধানসভার জন্যও একই ভাবে মোট ১৪টি ঘরে গণনা হবে।
প্রতিটি ঘরে ১০টি করে টেবিলে গণনা হবে। এই লোকসভার বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভায় ১৫, মন্তেশ্বরে ১৪, বর্ধমান উত্তরে ১৬, ভাতারে ১৪, গলসিতে ১৫, দুর্গাপুর পূর্বে ১৫ ও দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভায় ১৬ রাউন্ড গণনা হবে। প্রতিটি ঘরে দু’জন করে এআরও থাকবেন। বিধানসভা ভিত্তিক সর্বোচ্চ ১৬ রাউন্ড ও সর্বনিম্ন ১৩ রাউন্ড গণনা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দল, অবজ়ারভার ও সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৬টায় স্ট্রং রুম খোলা হবে। প্রথমে গোনা হবে পোস্টাল ব্যালট। এরজন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বর্ধমান পূর্বের পোস্টাল ব্যালট রয়েছে ৫,৫৮১টি। দু’টি ঘরে মোট ১৬টি টেবিলে এই কেন্দ্রের পোস্টাল ব্যালট গণনা করা হবে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের পোস্টাল ব্যালট রয়েছে ৭,৭৮২টি। মোট ৩টি ঘরে ১৬টি টেবিলে এই পোস্টাল ব্যালট গণনা হবে। দুই লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগণনায় প্রতিটি টেবিলের জন্য একজন করে এআরও থাকবেন। তার পর ইভিএম কাউন্টিং শুরু হবে। আশা করা যাচ্ছে, সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যেই ইভিএম কাউন্টিং শুরু হয়ে যাবে।’
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জেলায় ১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অশান্তি রুখতে প্রতিটি থানা এলাকায় এই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এদিকে, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ৭টি বিধানসভায় মোট ১৮৪টি টেবিলে ভোট গণনা করা হবে। তারমধ্যে ১৫৫টি টেবিল ব্যবহার করা হবে ইভিএমের গণনায়। বাকি টেবিল পোস্টাল ব্যালট ও অন্য কাজে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ১৪ রাউন্ড ও সবচেয়ে কম ১২ রাউন্ড গণনা করা হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার (আরও) এস পোন্নাবলম বলেছেন, ‘সকাল সাড়ে ৫টার সময়ে স্ট্রং রুম থেকে গণনা টেবিলে পোস্টাল ব্যালট পেপার নিয়ে যাওয়া হবে। ব্যালট গণনা শেষ হলে সকাল ৮টা থেকে ইভিএমের গণনা শুরু হবে। সবক্ষেত্রেই অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় ছাড় দেওয়া হতে পারে, তার বেশি নয়।’
আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে সেন র্যালে রোড বা বিবেকানন্দ সরণির এইচএলজি হাসপাতাল মোড় থেকে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের জুবিলি মোড় পর্যন্ত রাস্তায় পুলিশের জোরদার নজরদারি চলবে। মঙ্গলবার ভোররাত থেকে এই রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে।ইতিমধ্যে আসানসোল মহকুমা সংলগ্ন আন্তঃরাজ্য সীমানাগুলিতে সোমবার সকাল থেকেই ব্যাপক ভাবে নাকা চেকিং শুরু হয়েছে।
ভিন রাজ্য থেকে আসা গাড়ি ও মোটরবাইক থামিয়ে কুলটি থানার বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানার ডুবুরডি চেকপোস্টের নাকা পয়েন্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। একই ভাবে কল্যাণেশ্বরী-মাইথন এলাকা, রূপনারায়ণপুর-মিহিজাম সীমানা এবং বারাবনি-রুনাকুরাঘাট এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ চেকিং চলছে প্রত্যেকটি গাড়িতে।