পাশাপাশি দলের একাংশের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেন, ‘রাজ্য রাজনীতিতে যাঁরা জয়ী হননি তাঁরা রাজ্য চালাবেন তা হতে পারে না। রাজনীতিটা বোঝা প্রয়োজন। অহংকার ত্যাগ করতে হবে। আমাদের অনেক সাংসদের অহংকার হয়েছিল।’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো কাজ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন সৌমিত্র খাঁ। মহিলা এবং সংখ্যালঘু ভোট গিয়েছে তৃণমূলের ভাণ্ডারেই, অকপট স্বীকারোক্তি সৌমিত্র খাঁর।
নিজের প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলের প্রশংসা করতে শোনা যায় সৌমিত্র খাঁকে। তিনি বলেন, ‘সুজাতা লড়াইটা দারুন করেছে। ওকে দেখে মহিলারা ভোট দিয়েছেন।’ রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প যে তৃণমূলের পক্ষে গিয়েছে, স্পষ্ট তা জানিয়েছেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের অনেক কর্মীর স্ত্রী ভোট দিয়েছে তৃণমূলে। এটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফল।’
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাহায্য ছাড়া এই ১২টি আসনে জয়লাভও সম্ভব হত না বলে দাবি এই বিজেপি নেতার। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির একাধিক ‘হেভিওয়েট প্রার্থী’ রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছেন। এর মধ্য়ে রয়েছে নিশীথ প্রামাণিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ সরকার, দিলীপ ঘোষ, এস এস আলুওয়ালিয়া। যা গেরুয়া শিবিরের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে। তার উপর সৌমিত্রর মুখে এই ধরনের মন্তব্যের পর কানাঘুষো চলছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
উল্লেখ্য, সুজাতা মণ্ডলকে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করে তৃণমূল। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে সৌমিত্রকে টাফ ফাইট দিয়েছেন তিনি।