হুগলিতে পালাবদল! বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে এবার জয় ছিনিয়ে এনেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার ‘দিদি নম্বর ১’এর পরাজয়ে হুগলিতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে জেলা সংগঠন। এর মাঝেই লকেটের পরাজয়ের খুশিতে মাথা মুণ্ডন করলেন বিজেপি ত্যাগী ২ তৃণমূল কর্মী।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সপ্তগ্রাম থেকে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ছোট খেজুরিয়ার বাসিন্দা শ্যামাকান্ত দাস। হুগলি লোকসভায় তৎকালীন সাংসদ ছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে বর্তমান লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির দলীয় আলোচনা সভায় সাংসদ লকেটের কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন শ্যামাকান্ত দাস। শ্যামাকান্তের দাবি, লকেট বলেছিলেন, ‘যাঁর খুশি সে দল করবে এবং যাঁর ইচ্ছে হবে না, সে দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারে।’

এর পরেই দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন শ্যামাকান্ত। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে লকেটকে প্রাক্তন সাংসদ হিসাবে দেখে তবেই তিনি মাথা মুণ্ডন করবেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই দেখা যায় লকেট পরাজিত হয়েছেন। পূর্ব প্রতিজ্ঞা মত এদিন ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে গিয়ে গঙ্গাস্নান করে মাথা মুণ্ডন করেন। অন্যদিকে, প্রায় একই সঙ্গত কারণে আরও এক প্রাক্তন বিজেপি কর্মী তথা বর্তমান তৃণমূল সমর্থক নিমাই সানা ত্রিবেনী ঘাটে গিয়ে মাথা মুণ্ডন করেন।

খোকন রায় বলেন, ‘প্রতিজ্ঞা করেছিলাম লকেট চট্টোপাধ্যায় হারলে ত্রিবেনী শ্মশান ঘাটে গিয়ে চুল দাড়ি কামিয়ে বাড়ি ফিরব। তাঁকে পাঁচ বছরে দেখতে পাইনি, আর যেন তাঁকে দেখা না যায়। আমরা চেয়েছিলাম রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতুক।’ তাঁর কথায়, করোনার সময় লকেটকে আমরা পাশে পাইনি। তাই তাঁকে আমরা চাইনি। এখন তিনি প্রাক্তন সাংসদ। তাই, আমার মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে।

Rachana Banerjee TMC Candidates : ‘দিদির সেলেব প্রার্থীরাই দেখাবে উন্নয়ন কী ভাবে হয়’, জানালেন রচনা

অন্যদিকে, শ্যামাকান্ত বলেন, ‘বিজেপিতে যখন ছিলাম তখন তাঁর কাছ থেকে কোনও সাহায্য পায়নি। অনেক অত্যাচার সহ্য করেছিলাম, কিন্তু তাঁকে কাছে পাইনি। লোকসভা ভোটের আগে আমাদের ডেকেছিল সেখানেও তিনি খারাপ ব্যবহার করেন আমাদের সঙ্গে। তখনই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলাম, তিনি প্রাক্তন সাংসদ হলে শ্মশান ঘাটে গিয়ে চুল দাড়ি কামিয়ে আসব। তাই শ্মশানে গিয়ে মাথা মুণ্ডন করলাম।’

Rachana Banerjee : দ্বন্দ্ব ভুলে একজোট হয়েই হুগলিতে লক্ষ্মীলাভ রচনার
উল্লেখ্য, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে এবার জোর লড়াই ছিল দুই দিদির। শেষমেশ প্রায় ৭৬,৮৫৩টি ভোটে লকেটকে হারিয়ে দেন রচনা। গত বিধসনসভা নির্বাচনেও এই কেন্দ্রের অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা আসনে জয়লাভ করেছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। লোকসভা নির্বাচনেও জয় ছিনিয়ে আনতে পেরে আত্মবিশ্বাসী জেলা সংগঠন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version