জয়ের ব্যবধান মাত্র ৫৫৬৭। সুজাতা মণ্ডল যে ‘টাফ ফাইট’ দিয়েছেন, তা স্বীকার করছেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সৌমিত্র খাঁও। ‘আমার জীবনে কোনও লড়াই সহজ ছিল না’, ভোটের ফলাফল এবং আগামীর লড়াই নিয়ে মুখ খুললেন সুজাতা মণ্ডল।বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ২০১৪ সালে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯ সালে জার্সি বদলে তিনি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হন। কিন্তু, আইনি কারণে তাঁর প্রচার সামলেছিলেন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। এরপর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন সুজাতা। এরপর ধীরে ধীরে রাজনৈতিক জাঁতাকলে তাঁদের সম্পর্ক খইতে থাকে বলে দাবি ঘনিষ্ঠ মহলের। বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।

২০২৪ সালে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি যেখনে সৌমিত্রকে টিকিট দিয়েছিল সেই সময় তৃণমূল তাঁর সামনে ‘শক্ত প্রতিপক্ষ’ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল সুজাতা মণ্ডলকে। অত্যন্ত কড়া লড়াই করেছিলেন সুজাতা। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তিনি জিততে না পারলেও সৌমিত্র জিতেছেন মাত্র পাঁচ হাজারের থেকে সামান্য বেশি ব্যবধানে।

শনিবার কালীঘাটে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক দেওয়া বৈঠকে যোগদান করেছিলেন সুজাতা মণ্ডল। ভোটের ফলাফলের পর এদিনের বৈঠক থেকে ঠিক কী বার্তা পেলেন সুজাতা?

বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফল প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি দেশের সবথেকে কম মার্জিনে হেরেছি। মানুষ দু’হাত ভরে ভালোবাসা দিয়েছে।’ সৌমিত্রকে নিশানা করেছেন সুজাতা। অনৈতিকভাবে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী, দাবি তাঁর।

সুজাতার কথায়, ‘আমি জীবনে কোনও কিছুই সহজে পাইনি। অনেক লড়াই করতে হয়েছে। আগামীদিনেও করব। যাঁরা আমাকে হারানোর চক্রান্ত করেছে সময় তাঁদের বিচার করবে।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে আগামীদিনে আরও ভালো করে লড়াই করার জন্য শুভেচ্ছা দিয়েছেন বলে দাবি করেন সুজাতা।

তৃণমূল থেকে লড়লে তাঁর মার্জিন অনেক বেশি হত, দাবি করেছিলেন সৌমিত্র। এই নিয়ে সুজাতার কণ্ঠে কটাক্ষ শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেই সৌমিত্র দাবি করছিলেন বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়ে তিনি বিপুল মার্জিনে জিতবেন। এখন দাবি করছেন তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে বেশি ভোট পেতেন। তিনি নিজেই জানেন না কখন কী বলছেন। তাই তাঁর কথার জবাব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন মনে করি না।’ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে ‘চক্রান্ত করে জয়’-এর অভিযোগ তুলেছেন সুজাতা মণ্ডল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version