চোট সামান্য থাকায় চিকিৎসক আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়। হাসপাতালের গেটে অপেক্ষা করছিল সুপ্রিয়। আহত গৌতমের ছেলে ও তাঁর পরিজনরা ঘটনার খবর পেয়ে চন্দননগর হাসপাতালে চলে আসে। কেন তাঁর বাবাকে মেরে মাথা ফাটানো হল এই নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয় সুপ্রিয়র সঙ্গে। অভিযোগ, কয়েকজন মিলে বেধড়ক মারধোর করে যুবক সুপ্রিয়কে।
এরপর হাসপাতাল গেটেই লুটিয়ে পড়ে সুপ্রিয়। কয়েকজন মিলে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানিয়ে দেন মৃত্যু হয়েছে যুবকের। ঘটনার পরেই হাসপাতালে আসেন যুবকের পরিবার ও গ্রামের লোকজন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে চরম উত্তেজনা ছড়ায়। চন্দননগর থানার পুলিশকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চন্দননগর থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে হাসপাতালে। গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে এই ঘটনায়। পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
মৃত যুবকের এক পরিচিত সৌমেন শীল বলেন, ‘একজন ব্যক্তিকে ধাক্কা মেরেছিল সুপ্রিয়। তাঁকে ও নিজেই হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা করায়। ও হাসপাতালের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ করে ওই ব্যক্তির পরিবারের লোকজন এসে ওঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করে।’ হাসপাতাল চত্বরে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না, এমনকি কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকেও দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন সুপ্রিয়র পরিবারের লোকজন। তবে, গোটা ঘটনার জেরে চন্দননগর হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে পুলিশের উদ্যোগে বিক্ষোভকারীদের সরানো হয়।