বারাসত সংসদীয় এলাকায় রয়েছে চারটি পুরসভা। হাবরা, অশোকনগর, বারাসত এবং মধ্যমগ্রাম। প্রতিটি পুরসভাতেই মার্জিন তৃণমূলের থেকে বিজেপির বেশি। হাবরা পুরসভায় ২৪টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল হেরেছে। হাবরা পুরসভা থেকে তৃণমূল নেগেটিভ মার্জিন ১৮ হাজার ৯৫১। হাবরায় ভোটের দায়িত্ব ছিল পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহার উপর। ২০১৯-এর নির্বাচনেও হাবরা পুরসভায় লিড বিজেপিরই ছিল।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জিতলেও মার্জিন খুব বেশি ছিল না। আবার ২০২৪-এ বিজেপি এই পুর এলাকায় মার্জিন বাড়িয়ে নিয়েছে। হাবরায় এই পিছিয়ে থাকায় তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলই দায়ী বলেই মনে করছে দলের একাংশ। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠদের দাবি, হাবরায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুরসভার চেয়ারম্যান ভোট প্রক্রিয়ায় সবাইকে একসূত্রে বাঁধতে পারেননি।
যদিও সেই অভিযোগ মানেননি নারায়ণ। অন্য দিকে, জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ট কয়েকজন নেতা-কর্মী ভোটে জেনেবুঝে নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অশোকনগর পুরসভায় ১৬ টি ওয়ার্ডে, বারাসতের ২৯ টি ওয়ার্ডে এবং মধ্যমগ্রামের ১০ টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এ দিন এই তিন পুরসভা নিয়েও আলোচনা হয়।
ঠিক হয়েছে পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডে কেন মানুষ ভোট দেননি, তা জানতে বুথভিত্তিক বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ দিন বৈঠকের আগে তৃণমূলের শাখা সংগঠনের কর্মীরা বারাসতের সাংসদকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান। কাকলিকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। তারপর শুরু হয় বৈঠক।