এই সময়, মধ্যমগ্রাম: দিল্লি থেকে ফিরেই ভোটের ফল নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে পড়লেন বারাসতের তৃণমূলের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। ২০১৯-এর তুলনায় এ বার বারাসতে কাকলির লিড বেড়েছে প্রায় চার হাজার। জয়ের মার্জিন ১ লক্ষ ১৪ হাজার হয়েছে। তবুও এই জয়ে কাঁটা হয়েছে শহরতলিতে তৃণমূলের নেগেটিভ মার্জিন। এ দিনের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়াও ব্লকস্তরে দলের ফলাফলের কাটাছেঁড়া হয় মিটিংয়ে।মধ্যমগ্রামে এ দিনের বৈঠকে কাকলি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রথীন ঘোষ। ছিলেন চার পুরসভায় দলের প্রতিনিধি ও ব্লকের নেতারা। ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে তৃণমূলে ভোট বেশি পড়েছে। এ দিন মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে যে বুথ দল পিছিয়ে ছিল, তার কারণ জানিয়ে এক মাসের মধ্যে দলের জেলা সভাপতিকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

বারাসত সংসদীয় এলাকায় রয়েছে চারটি পুরসভা। হাবরা, অশোকনগর, বারাসত এবং মধ্যমগ্রাম। প্রতিটি পুরসভাতেই মার্জিন তৃণমূলের থেকে বিজেপির বেশি। হাবরা পুরসভায় ২৪টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল হেরেছে। হাবরা পুরসভা থেকে তৃণমূল নেগেটিভ মার্জিন ১৮ হাজার ৯৫১। হাবরায় ভোটের দায়িত্ব ছিল পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহার উপর। ২০১৯-এর নির্বাচনেও হাবরা পুরসভায় লিড বিজেপিরই ছিল।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জিতলেও মার্জিন খুব বেশি ছিল না। আবার ২০২৪-এ বিজেপি এই পুর এলাকায় মার্জিন বাড়িয়ে নিয়েছে। হাবরায় এই পিছিয়ে থাকায় তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলই দায়ী বলেই মনে করছে দলের একাংশ। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠদের দাবি, হাবরায় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুরসভার চেয়ারম্যান ভোট প্রক্রিয়ায় সবাইকে একসূত্রে বাঁধতে পারেননি।

বালুর অভাবেই কি হাতছাড়া হাবরা? প্রশ্ন দলের অন্দরে

যদিও সেই অভিযোগ মানেননি নারায়ণ। অন্য দিকে, জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ট কয়েকজন নেতা-কর্মী ভোটে জেনেবুঝে নিষ্ক্রিয় ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অশোকনগর পুরসভায় ১৬ টি ওয়ার্ডে, বারাসতের ২৯ টি ওয়ার্ডে এবং মধ্যমগ্রামের ১০ টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। এ দিন এই তিন পুরসভা নিয়েও আলোচনা হয়।

ঠিক হয়েছে পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ডে কেন মানুষ ভোট দেননি, তা জানতে বুথভিত্তিক বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এ দিন বৈঠকের আগে তৃণমূলের শাখা সংগঠনের কর্মীরা বারাসতের সাংসদকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানান। কাকলিকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। তারপর শুরু হয় বৈঠক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version