তবে, ঠিক কত টাকার সোনাদানা লুঠ করে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা সে ব্যাপারে এখনও কোনও পরিষ্কার হিসাব পাওয়া হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে নিকটবর্তী এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। আশেপাশের এলাকায় নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিশ। ডাকাত দল যাতে বেশি দূর পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য জোর তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।
দোকানের এক কর্মী বলেন, ‘এদিন বেলা বারোটা নাগাদ কাস্টোমার সেজে দুজন প্রথমে দোকানে ঢোকে। প্রথমে তারা কিছু গয়না দেখানোর জন্য বলে। এরপরেই আরও দুজন দোকানে ঢুকে পড়ে। এরপরেই আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুঠপাট শুরু করে দেয় দুষ্কৃতীরা।’ দোকানের ওই কর্মীর কথায়, মোট চারজন দোকানে ঢুকেছিল। চারজনের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। দোকানের এক কর্মীকে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয়। মাথা ফেটে রক্ত ঝড়তে শুরু করে ওই কর্মীর। কয়েক মিনিটের মধ্যেই লুঠপাট চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জানুয়ারি রানিগঞ্জে নেতাজি সুভাষ বোস রোডের উপর একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই জায়গায় ডাকাত দলকে আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ গুলির লড়াই হয়। বাইক করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ওই ডাকাত দলের দু’জন দুষ্কৃতীকে এখনও পর্যন্ত ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। রবিবার রাতেই ঝাড়খণ্ডের গিরিডি পুলিশ সরিয়া এলাকার জঙ্গল থেকে সুরজ সিং নামে একজনকে ধরে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝাড়খণ্ডের গিরিডির সরিয়া এলাকা থেকে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। রানিগঞ্জের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার হাওড়া জেলায় ফের ডাকাতির ঘটনা।