২. বজ্রপাত শুরু হলে থাকতে হবে বাড়ির ভিতরে। এড়িয়ে চলতে হলে ধাতব স্ট্রাকচার। সেক্ষেত্রে পাকা বাড়ি, পাকা ছাদের নিচে আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে।
৩. শেষ বিদ্যুৎ ঝলকের কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর পর্যন্ত থাকতে বাড়ির ভিতরেই।
৪. যদি বাড়ির বাইরে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হয়, তাহলে কোনওভাবেই কোনও উঁচু জায়গায় থাকা উচিত নয়।
৫. বজ্রপাতের সময় কোনও পুকুর, লেক বা জলাশয়ে থাকলে অবিলম্বে সেখান থেকে সরে আসতে হবে। যদিও কৃষকরা মাঠের জলের মধ্যে কাজ করেন, তাহলে সেখান থেকে শুকনো কোনও জায়গায় সরে যেতে হবে।
৬. বাড়ির বাইরে থাকা অবস্থায় বজ্রপাত শুরু হলে কোনও নিচু জায়গা খুঁজে বের করে সেখানে আশ্রয় নিতে হবে।
৭. কোনওভাবেই মাটিতে শুয়ে পড়া উচিত নয়, তাতে বিপদ বাড়তে পারে।
৮. যদি কাছাকাছি কোনও আশ্রয় না পাওয়া যায়, তাহলে শরীরকে যতটা সম্ভব জুবুথুবু করে কোনও জায়গায় বসে পড়তে হবে। হাত দিয়ে জড়িয়ে রাখতে হবে পা। একই সঙ্গে কান ঢেকে, চোখ বন্ধ করে ও মাথা নীচু করে নিতে হবে। তাতে বিপদের আশঙ্কা তুলনামূলকভাবে কম।
৯. মনে রাখতে হবে, রবারের জুতো বা গাড়ির টায়ার বজ্রাপাতের ক্ষতি থেকে বাঁচাতে পারে না।
১০. কখনওই কোনও গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া উচিত নয়, এতে ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।
১১. বাড়ির পোষ্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে হবে।
১২. এছাড়া বজ্রপাতের সময় কোনও মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন হলে অবশ্যই বাড়িয়ে দিতে হবে সহযোগিতার হাত।
এছাড়ও আরও বেশকিছু পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এর ফলে আগামীদিন মানুষ বজ্রাঘাত থেকে নিজেদের অনেকটাই নিরাপদে রাখতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।